রাজধানীর তুরাগ থানায় দায়েরকৃত এক হত্যা মামলায় ‘সন্দেহভাজন’ হিসাবে গ্রেপ্তার আলাল উদ্দিনের মৃত্যু প্রমাণ করিতেছে– পুলিশ হেফাজতে প্রাণহানি থামে নাই। অঘটন লইয়া পুলিশের ‘লুকোচুরি’ ইহাতে যুক্ত করিয়াছে অতিরিক্ত মাত্রা। স্বজনদের অভিযোগ, আলাল উদ্দিনকে ৬ জুন ফোনে ডাকিয়া লইয়া গিয়াছিল ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ বিভাগ-ডিবি। স্বজনরা ডিবি কার্যালয়ে গিয়া তাঁহার সন্ধান পান নাই। অথচ ডাকিয়া লইবার সময় বলা হইয়াছিল, জিজ্ঞাসাবাদ শেষেই ছাড়িয়া দেওয়া হইবে। কিন্তু ১৬ জুন হাসপাতাল হইতে ফোন করিয়া মৃত্যুসংবাদ দেওয়া হইয়াছে। এখন ডিবির পক্ষ হইতে সমকালকে বলা হইতেছে, ৬ তারিখ নহে; ১০ জুন ‘গ্রেপ্তার’ হইয়াছিলেন আলাল। ঐ দিনই আদালতে হাজিরের পর ‘পায়ে আঘাত’ দেখিয়া বিচারক তাঁহাকে পঙ্গু হাসপাতালে ভর্তির নির্দেশ দিয়াছিলেন। তথায় ‘হৃদরোগে’ আক্রান্ত হইলে তাঁহাকে হৃদরোগ ইনস্টিটিউটে স্থানান্তর করিবার পর মৃত্যু ঘটে।
- ট্যাগ:
- মতামত
- ডিবি পুলিশ
- হত্যা মামলা