মণিপুরের সহিংসতা ভূরাজনৈতিক প্রভাব ফেলতে পারে
ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের রাজ্য মণিপুর এখনও জ্বলছে। রাজ্যটির মুখ্যমন্ত্রী সন্ত্রাসীদের ওপর এর দায় দিয়েছেন, আপাতদৃষ্টিতে কুকি জাতিগোষ্ঠীর দিকেই আঙুল তুলেছেন তিনি। কিন্তু ভারতের শীর্ষ সামরিক কর্মকর্তা জেনারেল অনিল চৌহান স্পষ্ট করেছেন যে, ‘মণিপুরের এই বিশেষ পরিস্থিতির সঙ্গে বিচ্ছিন্নতাবাদীদের কোনো সম্পর্ক নেই এবং এটি মূলত দুটি জাতিগোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষ।’ চৌহানের এ মন্তব্য মণিপুর পরিস্থিতি নিয়ে মোদির আপাত উদাসীন মনোভাব সম্পর্কে প্রশ্ন উস্কে দেয়। যখন সহিংসতা শুরু হয়, প্রধানমন্ত্রী তখন কর্ণাটকে বিজেপির পক্ষে প্রচার করছিলেন (সেখানে ১০ মে বিধানসভা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়, যেখানে শাসক দল হেরে যায়)। কিন্তু তাঁর নীরবতা অব্যাহতই ছিল এবং তিনি জাপান, পাপুয়া নিউগিনি ও অস্ট্রেলিয়া সফরে ব্যস্ত ছিলেন। অস্ট্রেলিয়ায় মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এবং জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদার যাওয়ার কথা ছিল; তাঁরা তাঁদের পরিকল্পনা বাতিল করার পরেও মোদি অস্ট্রেলিয়া যান। সেখানে তিনি অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রীকে হিন্দু মন্দির ধ্বংসের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে বলেন। অথচ মোদি মণিপুরে মৃত্যু নিয়ে দুঃখ প্রকাশ করেননি বা রাজ্যে খ্রিষ্টানদের গির্জা ধ্বংসের কথাও উল্লেখ করেননি।