ট্রেইনি চিকিৎসকের কষ্টটা বলাও যায় না, সওয়াও যায় না
মাসিক ভাতা বৃদ্ধি, বকেয়া ভাতা পরিশোধ এবং ভাতা নিয়মিত দেওয়ার দাবিতে বেশ কয়েক দিন ধরেই আন্দোলন করে আসছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের বেসরকারি ট্রেইনি চিকিৎসকরা। বেসরকারি এসব ট্রেইনি চিকিৎসক সপ্তাহের ছয় দিন ডিউটি করেন। ছয় দিনে তাঁদের গড় কর্মঘণ্টা ৬০-৮০। বিনিময়ে ভাতা পান মাত্র ২০ হাজার টাকা। তাও সেটা ছয় মাস মিলে আসে ১ লাখ ২০ হাজার টাকা। সেটা আবার হাতে আসতে লেগে যায় সাত মাসের বেশি। ট্রেইনি চিকিৎসকদের দাবি– মাসিক ভাতা ২০ হাজার থেকে ৫০ হাজার করা হোক। বকেয়া ভাতা দ্রুত পরিশোধ এবং ভাতা নিয়মিত করা হোক। অন্যায় কিছু তো তাঁরা চাইছেন না।
২০২২-২৩ সেশনের অনাবাসিক ট্রেইনি চিকিৎসকরা এক বছরে ভাতা পেয়েছেন মাত্র তিন মাসের; ৯ মাসই বকেয়া। ভাতা বকেয়া পড়বে কেন? এটা তো তাঁদের ন্যায্য পাওনা। বকেয়া ৩৬ কোটি টাকার হিসাবই বা কোথায় কার কাছে? চিকিৎসকরা যখন আবার এ টাকার হিসাব চান, ফেরত চান; তখন তাঁদের দাগানো হয় ‘দেশবিরোধী এবং জামায়াত শিবিরচক্র’ বলে। সঙ্গে কর্মবিরতির মতো পদক্ষেপ নিলে কোর্স আউট করে দেওয়ার হুমকিও আসে। দায়িত্বশীল ভূমিকা রাখার কথা ছিল বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের। অথচ উল্টো ঘটনাকে অন্যভাবে প্রবাহিত করার চেষ্টা হচ্ছে। এসব মোটেই ভালো ফল বয়ে আনবে না।