গরু নিয়ে সাতকাহন
গরু গৃহপালিত প্রাণী। গরুর বাজার মূল্য এখন তীব্র থেকে তীব্রতর। গরুর উপকারিতা সম্পর্কে কারোই অজানা থাকার কথা নয়। আমাদের শিক্ষার্থীদের মধ্যে একজনও পাওয়া যাবে না যে, গরুর রচনা লেখেনি কিংবা পড়েনি। তাই গরুর উপকারিতা সম্পর্কে বলা নিরর্থক। সাহিত্যিক সত্যেন সেন পশুর প্রতি কিশোরদের মমত্ববোধ সৃষ্টি অভিপ্রায়ে রচনা করেছিলেন ‘লাল গরুটা’ নামক রচনাটি। পাঠ্যসূচিতেও সেটি অন্তর্ভুক্ত ছিল। কিন্তু হেফাজতিদের দাবির মুখে রচনাটি সরকারের আদেশে পাঠ্যসূচি থেকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। গরুর প্রতি কিশোর মনে ভালোবাসা জাগানো সহ্য করেনি হেফাজতিরা।
উপকারী গরুর অপকারিতার একটি দৃষ্টান্তও জানা যায় না। কৃষিপ্রধান আমাদের দেশে গরুর সর্বোচ্চ ব্যবহার কৃষিতে। গাভীর দুধ আমাদের খাদ্য সংস্কৃতির অবিচ্ছেদ্য অংশ। গরুর মাংস আমাদের প্রোটিন চাহিদা পূরণে সহজলভ্য ছিল। কিন্তু এখন অতি উচ্চমূল্যের কারণে সাধারণের ক্রয়-ক্ষমতার বাইরে। আমাদের পার্শ্ববর্তী বৃহৎ ভারতের মোট জনসংখ্যার প্রায় ৬০ ভাগ মানুষ নিরামিষভোজি। তারা মাছ-মাংস এমনকি ডিম পর্যন্ত খায় না এবং এটা ধর্মীয় আচারিক মতানুসারে। বৌদ্ধ-জৈন ছাড়াও প্রচুর হিন্দু ধর্মাবলম্বী সেখানে নিরামিষভোজী। ভারতের পশ্চিম, উত্তর এবং দক্ষিণের রাজ্যগুলোতে নিরামিষভোজীর সংখ্যা অধিক। সেখানকার সর্বাধিক খাবারের হোটেল ভেজিটেরিয়ান। নন-ভেজ হোটেল পাওয়া গেলেও খুবই অল্প।