আমদানি সক্ষমতা কমে যাওয়াটা ঝুঁকিপূর্ণ
অর্থনীতিকে আমরা রপ্তানিমুখী করতে চাইলেও এটা এখনো অনেকখানি আমদানিনির্ভর। আমাদের প্রধান যে রপ্তানিপণ্য গার্মেন্টস, তাতে যে বিপুল আয় হয় বলে শ্লাঘা অনুভব করি, তারও একটা বড় অংশ কিন্তু আমদানি ব্যয়। এর কাঁচামাল, মেশিনারিজ তো আমদানি করতে হয়। দেশে এসবের উৎপাদন বাড়ানো গেলে এবং রপ্তানিপণ্য উৎপাদনে তা ব্যবহার করতে পারলে, সেটা হতো কাজের কাজ। তাহলে রপ্তানিপণ্যে মূল্য সংযোজন বাড়ত। প্রকৃত রপ্তানি আয় বেড়ে উঠত। সেটা যে হচ্ছে না, তা নয়। দেশে বস্ত্র উৎপাদন খাত চাঙা হচ্ছে। পোশাকশিল্পে ব্যবহার বাড়ছে এর। কিন্তু আমরা তুলা উৎপাদন করি না বললেই চলে। এর প্রায় পুরোটাই করতে হয় আমদানি। সুতরাং তুলা আমদানি সক্ষমতা কতটা রয়েছে; এর আমদানি নির্বিঘ্নে করতে পারছি কি না, সেটা এক বড় প্রশ্ন। তবে এই মুহূর্তে আরও বড় প্রশ্ন, পোশাকশিল্পে কাঁচামাল ও মেশিনারিজ আমদানির কী অবস্থা? সামগ্রিকভাবে শিল্প খাতে আমদানি পরিস্থিতি ভালো নয়। তাতে শিল্পোৎপাদন কমে যাওয়ার খবর মিলছে। শিল্পোৎপাদন কমে যাচ্ছে দেশে গ্যাস-বিদ্যুৎ সংকট তীব্র হয়ে ওঠার কারণেও। এর দাম দফায় দফায় বাড়ানোর কথা আপাতত না হয় ঊহ্য থাকল। গ্যাস-বিদ্যুতের দাম বাড়লে শিল্পের উৎপাদন ব্যয় বেড়ে প্রতিযোগিতা সক্ষমতা কমে। সে প্রসঙ্গও পাশে রেখে প্রশ্ন তুলতে হয়, আমাদের প্রধান শিল্প খাত পোশাক বিদেশি ক্রেতাদের চাহিদা অনুযায়ী পণ্য সরবরাহ করে সুনাম ধরে রাখতে পারবে তো?