
শিক্ষকের মর্যাদা ও কোষাধ্যক্ষের সাংস্কৃতিক মান
একজন বিতর্কিত উপাচার্যের কারণে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বশেমুরবিপ্রবি) নাম প্রায়ই সংবাদমাধ্যমে আসত, অবধারিতভাবেই তাঁর নানা নেতিবাচক কর্মকাণ্ডের কারণে। ২০১৯ সালে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে ওই উপাচার্য পদত্যাগের পর বশেমুরবিপ্রবির শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা স্বস্তিতেই ছিলাম। অতীতের তিক্ততা ভুলে সবাই যখন সামনে এগিয়ে যাওয়ার জন্য কঠোর পরিশ্রম করছেন, তখন কোষাধ্যক্ষ পদে অবসরপ্রাপ্ত একজন অধ্যাপককে নিয়োগ দেওয়া হয়। বশেমুরবিপ্রবি শিক্ষকদের প্রত্যাশা ছিল, কোষাধ্যক্ষ নিয়োগের প্রশাসনিক জটিলতায় আটকে থাকা এত বছরের বঞ্চনা এবার দূর হবে। কারণ ২০১১ সালে প্রথমবারের মতো এই বিশ্ববিদ্যালয়ে পারিতোষিকের হার নির্ধারণ করা হয়েছিল। এরপর তা আর পুনর্নির্ধারিত হয়নি। অথচ গত এক যুগে অপরাপর বিশ্ববিদ্যালয়ে পারিতোষিকের হার কয়েক দফা বাড়ানো হয়েছে। সম্প্রতি তাঁর কিছু কর্মকাণ্ডে বশেমুরবিপ্রবির শিক্ষকসমাজ যেভাবে অপমানিত ও হেনস্তার শিকার হয়েছেন, তা মর্যাদাশীল মানুষ হিসেবে মেনে নেওয়া কঠিন।
ঘটনার সূত্রপাত গত ২৪ মে, শিক্ষকদের পদোন্নতি-সংক্রান্ত জটিলতা নিরসনের লক্ষ্যে গঠিত একটি কমিটির সভায়। চাকরিকাল গণনার জন্য ওই কমিটিতে সভাপতি হিসেবে স্বয়ং প্রশাসনপ্রধান উপাচার্য, কোষাধ্যক্ষ, বিভিন্ন অনুষদের ডিন, দুটো ভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশেষজ্ঞ বহিঃস্থ সদস্য (একজন স্বনামধন্য অধ্যাপক ও একজন অভিজ্ঞ রেজিস্ট্রার), এ বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার এবং শিক্ষক সমিতির দু’জন প্রতিনিধিসহ মোট ১২ জন সদস্য উপস্থিত ছিলেন। ওই সভায় অপ্রাসঙ্গিকভাবে শিক্ষকদের অশ্রাব্য ভাষায় গালাগাল করেন কোষাধ্যক্ষ।