এসেছে বাজেট: অব্যাহত অপচয়ের সংস্কৃতি
সরকারের বাজেট ঘোষণা হবে। নানানভাবেই বাজেটে কোন পণ্যের দাম কত টাকা বাড়বে—এ ব্যাপারটি আগেই ফাঁস হয়ে যায়। সেই অনুযায়ী পণ্যগুলো গুদামজাত হয়ে যায়, উচ্চমূল্যে বিক্রির জন্য মজুত থাকে এবং ব্যবসায়ীদের জন্য আরও একটি সুযোগ তৈরি হয়।
একদা বাজেট ছিল খুবই ক্ষুদ্র এবং অর্থনীতিটাও ছিল ছোট। এখন অর্থের বাজার বড় হয়েছে, বাজেটও স্ফীত হয়েছে। সেই সঙ্গে টাকার মূল্যমান কমে গিয়ে একটা স্ফীত নয়া মুদ্রাস্ফীতি গড়ে উঠেছে। এর সুবিধাভোগী হচ্ছে সরকারি চাকরিজীবীরা, যাঁদের বেতন এক লাফে দ্বিগুণ হয়ে গেছে। ঘুষের টাকাও দ্বিগুণ হয়ে গেছে। আর সুবিধা হয়েছে ব্যবসায়ীদের, পরিবহন মালিকদের, যাঁরা দাম বাড়াতে একটুও দ্বিধাবোধ করেন না। কতজন এই মূল্যবৃদ্ধিতে জীবন হারাল, হাহাকারে পড়ে গেল, এ নিয়ে তাঁদের মাথাব্যথা নেই আর সরকার তো ব্যবসায়ী, চাকরিজীবী ও দুর্নীতিবাজ কমিশন এজেন্টদের ওপর নির্ভর করে। এ রকম অবস্থায় মুনাফা, কমিশনের টাকা, ঘুষের টাকা সব চলে যাচ্ছে বিদেশের ব্যাংকে। বিত্তবানদের টাকায় বিদেশের স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়গুলো ফুলেফেঁপে উঠেছে।