গ্যাস-বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধি নয়, দ্রব্যমূল্য কমান
সরকার বলেছে, এখন থেকে প্রতি মাসেই গ্যাস-বিদ্যুতের দাম সমন্বয় করা হবে। এই ‘সমন্বয়’ শব্দটার ওপরে সাধারণ মানুষের এক ধরনের আতঙ্ক এসে গেছে। দেশে মূল্যস্ফীতি এখন ৯ শতাংশ ছাড়িয়ে গেছে। বাজারে তার প্রভাব পড়েছে বেশ কিছুদিন ধরেই। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ গত এক বছরে মূল্যস্ফীতির হার কমিয়ে আনলেও বাংলাদেশ তা পারেনি। বারবার কোভিড ও ইউক্রেন যুদ্ধের দোহাই দিলেও তাতে অর্থনীতিবিদদের সায় মিলছে না। অনেকেই বলছেন, যেসব দেশ মূল্যস্ফীতি রোধে সক্ষম হয়েছে তাদের অভিজ্ঞতা কাজে লাগানো দরকার। দ্রুত এ ব্যাপারে কার্যকর কিছু করা সম্ভব না হলে জনজীবনে এর নেতিবাচক প্রভাব বাড়বে।
অথচ এর মধ্যে গ্যাসের দাম বাড়ানোর জন্য তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষ বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের (বিইআরসির) কাছে প্রস্তাব দিয়েছে। উদ্বেগের বিষয় হলো, তিতাস একটি লাভজনক প্রতিষ্ঠান থেকে ক্রমেই অলাভজনক প্রতিষ্ঠানে পরিণত হচ্ছে। তথ্যমতে, গত মাসেও তিতাসের ক্ষতির পরিমাণ দুইশ কোটি টাকা ছাড়িয়ে গেছে। কিন্তু গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধি হলে তার প্রভাব পড়বে অন্যান্য ক্ষেত্রে এবং ভোগান্তি বাড়বে নির্ধারিত আয়ের গৃহস্থদের।
মিটারবিহীন আবাসিক গ্রাহকরা বেশি গ্যাস ব্যবহার করছেন তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানির এই বক্তব্যকে মনগড়া ও ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছেন ভোক্তারা। চুরি ঠেকাতে না পেরে সেই দায় আবাসিক গ্রাহকদের ওপর চাপাতে চাইছে বলে অভিযোগ উঠেছে।