ডায়েট করার সময় যে ফলগুলো খাওয়া যাবে
পানসে কিংবা টকজাতীয় ফল খেতে কোনো বাধা নেই। কিন্তু মিষ্টি স্বাদের ফলগুলো খেতে হবে পরিমিত। কলা, পাকা পেঁপে, পাকা আম, পাকা কাঁঠাল, লাল আপেল প্রভৃতি মিষ্টি ফল খেতে ভালো লাগলেও বেশি খাওয়া যাবে না। তা ছাড়া কোনো ফলের সঙ্গে লবণ বা চিনি যোগ করে খাওয়াও ঠিক নয়। অনেকে ফলের পরিবর্তে ফলের রস খান, এ ক্ষেত্রে চিনি এড়িয়ে চলতে হবে। বাজারের ফলের রস বা জুসের পরিবর্তে নিজেরা ফলের রস করে নেওয়া ভালো। খোসাসহ ফল খেলে খোসার আঁশের উপকারিতাও পাবেন, যেমন রক্তে খারাপ চর্বির পরিমাণ কমবে, কোষ্ঠকাঠিন্যও এড়ানো যাবে। ফল সম্পর্কে এমন নানা পরামর্শ দিলেন ঢাকার গভর্নমেন্ট কলেজ অব অ্যাপ্লায়েড হিউম্যান সায়েন্সের খাদ্য ও পুষ্টিবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক শম্পা শারমিন খান।
বাঁধাধরা পরিমাণে
মাঝারি আকারের পাকা আম খেতে পারবেন রোজ একটি, পাকা পেঁপে কিউব করে কেটে নিয়ে খাওয়া যাবে ছোট এক বাটিতে যতটুকু ধরে, ঠিক ততটুকু, এর বেশি নয়। ছোট কলা (যেমন চম্পা কলা) খাওয়া যাবে একটি। পাকা কাঁঠালও তিন-চার কোয়ার বেশি নয়। ড্রাগন ফল বড়জোর চার-পাঁচ টুকরা, লাল আপেল খেলে অর্ধেকটার বেশি নয়। কচি তালশাঁস তিন কোয়ার বেশি নয়, কচি না হলে খাওয়া যাবে দুই কোয়া। মিষ্টি স্ট্রবেরি (বিদেশি) খেতে পারবেন সর্বোচ্চ একটি। পাকা তালের মিষ্টান্ন খেতে চাইলে চালের গুঁড়া বা চিনি দিয়ে বড়া নয়, বরং কেবল দুধ আর তালের রস দিয়ে পায়েস করে খেতে পারেন ছোট বাটির এক বাটি।
একটু বেশি খাওয়া যাবে যা
বাঙ্গি বা তরমুজ খেতে পারবেন রোজ ২৫০-৩০০ গ্রাম অবধি (কিউব করে নিলে মাঝারি বাটির ১ বাটি)। লিচু মিষ্টি না হলে ৮-১০টি করে খেতে পারেন রোজ, তবে লিচু মিষ্টি হলে পরিমাণ কমিয়ে দিতে হবে।
বেশ খানিকটা খেতে পারেন যা
নাশপাতি, পিয়ারস, সবুজ আপেল, আনারস, আমড়া, জলপাই, বরই, জামরুল, জাম, পেয়ারা, কাঁচা আম, ডেউয়া, দেশি স্ট্রবেরি কিংবা আধপাকা, পানসে পেঁপে খেতে পারেন। তবে কোনো শারীরিক সমস্যার কারণে ফল খেতে চিকিৎসকের নিষেধাজ্ঞা থাকলে সেটি মেনে চলতে হবে সব সময়ই।