রোজায় গ্যাসের সমস্যায় কী করবেন, কী করবেন না

কালের কণ্ঠ প্রকাশিত: ০৪ মার্চ ২০২৫, ১৬:৪৮

আমাদের পাকস্থলিতে প্রতিদিন প্রায় দেড় থেকে দুই লিটার হাইড্রোক্লোরিক এসিডের ক্ষরণ হয়, যার কাজ হচ্ছে পাকস্থলিতে খাবার পরিপাক  করতে সহায়তা করা। যদি কোনো কারণে পাকস্থলিতে এই হাইড্রোক্লোরিক এসিড ক্ষরণের মাত্রা বেড়ে যায় তাহলে পাকস্থলির অভ্যন্তরীণ আবরণ তথা মিউকাস মেমব্রেনে প্রদাহ তৈরি হয় যাকে চিকিৎসা বিজ্ঞানের ভাষায় গ্যাসট্রাইটিস বলে।


অতিরিক্ত খাবার খেলে কিংবা অনেকক্ষণ না খেয়ে থাকলে কিংবা বেশি বেশি তৈলাক্ত খাবার খেলে পাকস্থলিতে হাইড্রোক্লোরিক এসিডের মাত্রা বেড়ে যায় এবং প্রদাহ হয়, যাকে আমরা গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা হিসেবে বিবেচনা করি।


রমজানে সারা দিন না খেয়ে উপবাস করা হয়। শুধু ইফতার থেকে সাহরি পর্যন্ত খাওয়ার সময় থাকে। ফলে এ সময়ের মধ্যে অনেকেই যা ইচ্ছে তা-ই খেতে থাকেন। যার ফলে দেখা দেয় বদ হজম বা পেটে গ্যাসের মতো সমস্যা।


ইফতারের সময় যা করবেন


পেটে গ্যাসের সমস্যা কমাতে চাইলে ইফতারে অতিরিক্ত তৈলাক্ত খাবার, যেমন পিঁয়াজু, আলুর চপ, বেগুনি, চিকেন ফ্রাই, জিলাপি ইত্যাদি যতটুকু সম্ভব এড়িয়ে চলতে হবে। এক সঙ্গে অনেক বেশি খাবার না খাওয়াই ভালো। অনেকে ইফতার করতে বসে গপাগপ খেতে থাকেন। এটা কিছুতেই করা যাবে না।


ইফতারে রাখতে পারেন ইসপগুলের শরবত, ডাবের পানি ইত্যাদি। এ ছাড়া রাখতে পারেন শর্করা জাতীয় খাবার, যথা খেজুর, পেয়ারা, ছোলা, সেমাই ইত্যাদি। ইফতারে প্রথমে অল্প পরিমাণ খাবার খেয়ে মাগরিবের নামাজের পর রাতের খাবার খেয়ে নেওয়া ভালো। সম্ভব হলে তারাবির নামাজের আগেই খেয়ে নিতে হবে। তাহলে খাবারের পরে কিছুক্ষণ হাঁটাহাঁটি করে নামাজ পড়লে এক প্রকার ব্যায়াম হয়ে যাবে। এ ক্ষেত্রে খাবার পরিপাকে সহায়ক হবে, পাশাপাশি এসিডিটির ঝুঁকিও কমে যাবে।


রোজার মাসে পেটে গ্যাসের সমস্যা থেকে বাঁচার জন্য রাতের খাবার কিংবা সাহরি দুটোই ঘুমানোর অন্তত এক ঘণ্টা আগে শেষ করতে হবে এবং খেয়ে অবশ্যই কিছুক্ষণ হাঁটাহাঁটি করে তারপর ঘুমাতে হবে। অন্যথায় এসিডের ব্যাক ফ্লো হয়ে GERD-এর মতো রোগ হতে পারে।


সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও