ধন্যবাদ ভূমিকম্প
মাঝে মাঝে ভূমিকম্প হলে আলোচনার নতুন বিষয় পাওয়া যায়। টক শোতে নতুন সেট আলোচকদের মুখ দেখা যায়। অজনপ্রিয় রাজনীতির শ্রুতিকটু বকবকানি আর দৃষ্টিকটু অঙ্গভঙ্গির বদলে অন্য কিছু বয়ানের মওকা মেলে। স্বাদ পরিবর্তনের এমন দুর্লভ সুযোগ সৃষ্টির জন্য ভূমিকম্পকে ধন্যবাদ দিতেই হয়। বাজেটের আগে সাতসকালে ঢাকাকে বড় ধরনের ঝাঁকি দিয়ে কেনাকাটার সঙ্গে সংশ্লিষ্টদেরও ধন্যবাদ পাবে ভূমিকম্প।
অন্যরকম ভূমিকম্প
যে যাই বলুক, শুক্রবার ৫ মে ২০২৩ ভোর ৫টা বেজে ৫৭ মিনিট ১৫ সেকেন্ডের কাঁপুনিটা ছিল ভিন্নমাত্রার। প্রাথমিক তথ্যের ভিত্তিতে ভূমিকম্পটিকে ৫ দশমিক ২ মাত্রার বলা হলেও আমেরিকার ভূতাত্ত্বিক অধিদপ্তরের সংশোধিত তথ্য অনুসারে ভূমিকম্পটির মাত্রা ৪ দশমিক ৩। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, রাজধানীর এত কাছে ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল আগে কখনই ছিল না। প্রথমে নরসিংদী বলা হলেও শেষ পর্যন্ত তথ্য তালাশ করে জানা গেছে উৎপত্তিস্থল বা এপি সেন্টার ছিল ঢাকার দোহার উপজেলা। উৎপত্তিস্থল দোহার থেকে ১৪ কিলোমিটার পূর্ব-দক্ষিণ-পূর্বে। ঢাকা থেকে দোহারের দূরত্ব হবে ১৯ মাইল। অবশ্য পাকা রাস্তা ধরে মাপলে দূরত্ব বাড়বে। ভূমিকম্পটি ভূপৃষ্ঠ থেকে ১০ কিলোমিটার গভীরে সৃষ্টি হয়েছে। সবকিছু ছাপিয়ে ভূতত্ত্ববিদদের চিন্তার বিষয় হচ্ছে, ঢাকার এত কাছে এত সক্রিয় ভূচ্যুতি আমরা সামলাব কীভাবে। ক্রমবর্ধমান রাজধানীর পরবর্তী পদক্ষেপ কী হবে? উপায় কী হবে?