ভাঙারি দোকানে বিক্রি ঝুঁকিপূর্ণ চিকিৎসা বর্জ্য

প্রথম আলো ঠাকুরগাঁও সদর প্রকাশিত: ০৩ মে ২০২৩, ১৬:০৭

ঠাকুরগাঁওয়ে হাসপাতাল, ক্লিনিক ও রোগনির্ণয় কেন্দ্রে ব্যবহার করা সিরিঞ্জ, সুচ, স্যালাইনের ব্যাগ, নল প্রভৃতি চিকিৎসা বর্জ্য নষ্ট না করে বিক্রি করে দেওয়া হচ্ছে। একদল ফেরিওয়ালা ঝুঁকিপূর্ণ এসব চিকিৎসা বর্জ্য সংগ্রহ করে ভাঙারি দোকানে বিক্রি করছেন। এগুলো জীবাণুমুক্ত না করে পুনরায় ব্যবহারের আশঙ্কার পাশাপাশি বাড়ছে স্বাস্থ্যঝুঁকি।


ঠাকুরগাঁও সিভিল সার্জনের কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, জেলায় ২৫০ শয্যার জেনারেল হাসপাতাল, ২০ শয্যার মা ও শিশুমঙ্গল কেন্দ্র, চারটি উপজেলায় একটি করে ৫০ শয্যার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স রয়েছে। এ ছাড়া ৭৯টি বেসরকারি ক্লিনিক ও ১০২টি রোগনির্ণয় কেন্দ্র রয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানে নিয়মিত ছোট-বড় অস্ত্রোপচার হয়। প্রতিদিনই জমে বিপুল পরিমাণ চিকিৎসা বর্জ্য। কিন্তু জেলার বেশিরভাগ হাসপাতাল, ক্লিনিক ও রোগনির্ণয় কেন্দ্রে বর্জ্য ব্যবস্থাপনা ভালো নয়। 


চিকিৎসাসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, হাসপাতালের পুনর্ব্যবহারযোগ্য ও পুনঃ চক্রায়নযোগ্য বর্জ্য বাইরে বিক্রি হয়। হাসপাতালের কর্মীরা পুনর্ব্যবহারযোগ্য বর্জ্য যেমন, ব্যবহৃত কাচের বোতল, সিরিঞ্জ, স্যালাইনের ব্যাগ ও প্লাস্টিকের নল নষ্ট না করে বর্জ্য সংগ্রহকারীর কাছে বিক্রি করে দেন। পরে এসব পুনর্ব্যবহারযোগ্য বর্জ্য নানা হাত ঘুরে পরিষ্কার ও প্যাকেটজাত করে ওষুধের দোকান, বিভিন্ন হাসপাতাল ও ক্লিনিকে চলে যায়। এসব উপকরণ সঠিকভাবে জীবাণুমুক্ত করা হয় না। ফলে এসব উপকরণ পুনর্ব্যবহারে সংক্রামক রোগের ঝুঁকি রয়েছে। একইভাবে ব্যবহৃত সিরিঞ্জ, ব্লেড, ছুরি, কাঁচি, রক্তের ব্যাগ ও নল, ধাতব উপকরণের মতো পুনঃ চক্রায়নযোগ্য চিকিৎসা বর্জ্য ধ্বংস না করে ভাঙারির দোকানে বা রিসাইক্লিং কারখানাগুলোতে বিক্রি হয়। এসব বর্জ্য পরিবহণ করার ফলে এর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কর্মী ও রিসাইক্লিং কারখানার কর্মীদের বিভিন্ন সংক্রামক রোগে আক্রান্ত ও পরিবেশ দূষণের ঝুঁকি বাড়ে।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও