মারা যাচ্ছে মার্কিন অর্থনীতির প্রাণভোমরা

সমকাল সাব্বির আহমেদ প্রকাশিত: ০১ মে ২০২৩, ০২:০১

আন্তর্জাতিক লেনদেনের কেন্দ্রীয় মুদ্রা হওয়ায় পৃথিবীর সব দেশ যেহেতু ডলার পেতে চায়, সেহেতু আমেরিকা অনেক বাড়তি অর্থনৈতিক সুবিধা পেয়ে যায়। বাজারে (আমেরিকার অভ্যন্তরে এবং সারাবিশ্বে) ডলারের পরিমাণ কত হবে, তা নির্ধারণ করার ক্ষমতা একমাত্র আমেরিকার কেন্দ্রীয় ব্যাংকের। অন্য কেউ এর পরিমাণ নিয়ে কখনও প্রশ্ন তুলতে পারে না। ফলে আমেরিকা তার সুবিধামতো অন্যদের অসুবিধার কথা বিবেচনা না করে ডলার ছেপে বাজারে ছাড়তে পারে। প্রায়ই করেও তা। নতুন ডলার বাজারে ছাড়লে মুদ্রাস্ফীতি শুধু আমেরিকাতেই নয়, সারা দুনিয়ায় হয়। ২০০৮ সালে আর্থিক সংকট এবং ২০২০-২১ সালে করোনাভাইরাসের কারণে সৃষ্ট অর্থনৈতিক মন্দা মোকাবিলায় ধনী দেশগুলো প্রচুর পরিমাণ ডলার, ইউরো, পাউন্ড ছেপে তা বাজারে ছেড়েছে। অন্যদের বাড়তি মুদ্রা বিশ্ববাসীকে অতটা সমস্যায় না ফেললেও ডলার বিপদ সৃষ্টি করেছে তেল উৎপাদনকারী দেশগুলো ছাড়া বাকি সবার। আমেরিকা ও ইউরোপের দেশগুলোতে সৃষ্টি হয়েছে ৫০ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ মূল্যস্ফীতি। ১৯৭০-এর দশকের জ্বালানি সংকটের পর এত ব্যাপক মূল্যস্ফীতি দেখেনি পৃথিবী।


আবার নিজেদের ভুল মুদ্রানীতির ফলে সৃষ্ট মূল্যস্ফীতি কমাতে আমেরিকা, ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং যুক্তরাজ্যের কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলো সুদের হার বাড়িয়ে দিয়েছে। বাড়তি লাভের আশায় বিনিয়োগকারীরা সারা দুনিয়া থেকে ডলার তুলে আমেরিকায় নিয়ে যায়। এতে বিশ্বজুড়ে ডলারের সংকট দেখা দেয়; ডলারের দাম বেড়ে যায়। ডলারের বিপরীতে প্রধান সব মুদ্রার দাম কমে যায় ১০ থেকে ১২ শতাংশ। টাকার দাম পড়ে যায় প্রায় ২০ শতাংশ। ডলারের দাম বেশি হলে বিভিন্ন দেশে ঋণ সমস্যা সৃষ্টি হয়। শ্রীলঙ্কা, পাকিস্তানসহ পৃথিবীর অনেক দেশ এখন ঋণ সংকটে ভুগছে। পুনর্বিন্যাস বা মওকুফ করা না হলে দেউলিয়া ঘোষণা করতে হবে অনেককে।


ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে সৃষ্ট পণ্য সরবরাহ সংকটের সঙ্গে ডলারের বাড়তি দাম যোগ হয়ে জ্বালানি তেল ও প্রাকৃতিক গ্যাসের দাম এতটাই বেড়ে যায় যে, প্রায় ছয় হাজার কিলোমিটার দূরের বাংলাদেশেও জ্বালানি তেলের অভাবে বিদ্যুৎ উৎপাদন কমিয়ে দিতে হয়েছিল। কিছুদিন বন্ধ রাখতে হয়েছে তরল গ্যাসের আমদানি। খাদ্য উৎপাদন জ্বালানিনির্ভর হওয়ায় তেল-গ্যাসের সংকটের চাপ সবচেয়ে বেশি পড়েছে খাদ্যদ্রব্যের ওপর। এখনও খাবারে কষ্ট পাচ্ছে আফ্রিকার মানুষ। মাংস ও ডিম বিলাস পণ্যে পরিণত হয়েছে মিসরে; গমের অভাবে ৩৭ শতাংশ নাইজেরিয়ার বেকারি বন্ধ হয়ে গেছে; খাবার আর শীতে কষ্ট পেয়েছে ইউরোপ।


সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও