ইন্দো-প্যাসিফিক রূপরেখা অনিবার্য ছিল
ভারত ও প্রশান্ত মহাসাগর ঘিরে যুক্তরাষ্ট্রের কৌশলগত উদ্যোগ ইন্দো-প্যাসিফিক কৌশল-আইপিএস বিষয়ে সম্প্রতি বাংলাদেশ তার অবস্থান ঘোষণা করেছে। এ নিয়ে স্বাভাবিকভাবেই নানা প্রশ্ন থাকবে। আইপিএসে যুক্ত হতে বাংলাদেশকে যুক্তরাষ্ট্র ও তার ইউরোপীয় মিত্ররা ২০১৮ সাল থেকে অনুরোধ জানিয়ে আসছে। সর্বশেষ প্যারিস সফররত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল মাখোঁও এ নিয়ে আলোচনা করেছেন।
বাংলাদেশ হঠাৎ তার নীতি পরিবর্তন করেছে, নাকি আগে থেকেই, তা নিয়ে আলোচনা হতে পারে। তবে মনে রাখতে হবে, মানুষ ভূ-রাজনীতি বা জিও পলিটিকস তৈরি করে এবং প্রয়োজন হলে পরিবর্তনও করে। ভূ-রাজনীতি কখনও মানুষকে তৈরি করে না। আমরা যদি একটু পেছনে ফিরে যাই দেখতে পাব, ব্রিটিশরা প্রায় ২০০ বছর ভারতবর্ষ শাসন করেছে। তারা ভূ-রাজনৈতিক কৌশল নিয়েই এখানে এসেছিল। সে সময়ও ভূ-রাজনৈতিক কারণে ভারতবর্ষের মধ্যে বর্তমান বাংলাদেশ গুরুত্বপূর্ণ ছিল। তাই ব্রিটিশদের বিশেষ নজর ছিল এ অঞ্চল ঘিরে। সেই আমলেও চীনের অর্থনীতি শক্তিশালী অবস্থানে ছিল। চীনের অর্থনীতি হঠাৎ দাঁড়িয়ে যায়নি। এখনকার প্রেক্ষাপটে বলা যায়, চীনের অর্থনৈতিক পুনরুত্থান হয়েছে। অবিভক্ত ভারত অর্থনৈতিক বিবেচনায় পৃথিবীতে দ্বিতীয় অবস্থানে ছিল। আগেই বলেছি, ভারতবর্ষের মধ্যে বাংলার অবস্থান ছিল সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। এ কারণেই ব্রিটিশরা ঢাকাকে শাসনের নামে ২০০ বছর শোষণ করেছে। বলা যায়, নানা অপকৌশলের জালে আমাদের অর্থনীতি শেষ করে দিয়েছে ওই শাসক চক্র।