বাঙালি আজও ঘুরে দাঁড়াতে পারে

সমকাল বেবী সাউ প্রকাশিত: ১৮ এপ্রিল ২০২৩, ০১:০০

দক্ষিণ এশিয়ার এক বৃহৎ জনসমাজকে সারাবিশ্ব বাঙালি নামে চেনে। এই বাঙালি জাতি নিয়ে যে ৪ হাজার বছরের ইতিহাস আছে তা মূলত পশ্চিমবঙ্গ, আসাম, ত্রিপুরা এবং বাংলাদেশের মানুষ নিয়ে। ব্রিটিশ উপনিবেশে বাঙালির এক স্বকীয়তার ইতিহাস আছে। আছে নিজস্ব সৃষ্টি, কৃষ্টি এবং স্বতন্ত্র সংস্কৃতি। বলা বাহুল্য, এক সময় বাংলা শিক্ষাধারা, চিন্তাভাবনা, সৃষ্টি-শৈলী এতটাই সমৃদ্ধ ছিল; ভারত তথা সারাবিশ্ব তাকিয়ে থাকত এদিকে। এ প্রসঙ্গে বিশিষ্ট রাজনৈতিক নেতা এবং সমাজ সংস্কারক গোপালকৃষ্ণ গোখলের বিখ্যাত উক্তিটি আত্মপ্রশংসার মতো আরেকবার ঝালিয়ে নেওয়া যেতে পারে– ‘বাংলা যা ভাবে আজ, ভারত ভাবে তা আগামীকাল’।


অখণ্ড বাংলা তখন ছিল সবচেয়ে ধনী ও সমৃদ্ধ অঞ্চল; উপমহাদেশীয় সংস্কৃতি বলুন কিংবা রাজনীতির ক্ষেত্রে। ঊনবিংশ শতাব্দীতে বাঙালির স্বর্ণযুগ শুরু হয়। শিল্প, সাহিত্য, বিজ্ঞান, চিত্র, ধর্ম, রাজনীতি– সর্বক্ষেত্রেই পরিপূর্ণ এক জাতি। আমরা পাই রবীন্দ্রনাথ, নজরুল, আচার্য প্রফুল্লচন্দ্র রায়, জগদীশচন্দ্র বসু, সুভাষচন্দ্র বসুর মতো ব্যক্তিত্ব। ১৯৪৭ সালে দেশভাগের ফলে বাংলা এবং বাঙালির যে সংস্কৃতি, তা ক্ষয় হতে থাকে। বিভিন্ন নৃ-গোষ্ঠীর মধ্যে বিভাজন, হিন্দু-মুসলিম বিভাজন এ ক্ষেত্রে অনেকটাই দায়ী, তা বলা বাহুল্য। এখন বাঙালি বলতে বিপুল সংখ্যক মানুষকে বোঝায়, যারা বাংলায় কথা বলে, পড়াশোনা করে এবং চিন্তাশক্তি চালিত করে।


দেশভাগের ধকল কাটিয়ে বর্তমানেও যে বাঙালি খুব পিছিয়ে পড়েছে, সেটা বলা যায় না। যুগের সঙ্গে কিছুটা পরিবর্তন মেনে নিতেই হবে। তার সঙ্গে বিশ্বায়নের চাপ তো আছেই। তাই বলে বাঙালি জাতির যে ঐতিহ্য, সংস্কৃতি তা পুরোপুরি নির্মূল করে নয়। ‘আমি বাঙালি’– এই অহংবোধই একটা জাতিকে, একটা সমাজকে এবং বিপুল জনস্রোতকে এক সুতোয় বাঁধতে পারে। তখন রাজনৈতিক পলিসি বলুন কিংবা কূটনৈতিক চাল; এখানে বিফল হতে বাধ্য। মানে সাম্প্রদায়িক যে অসম্প্রতির ঘটনা এখন আমাদের চক্ষুপেয় হয়ে গেছে, সেখান থেকে আমরা উঠে আসতে পারব। এই বাংলা ভাষা আমাদের বাঁচিয়ে ও বেঁধে রাখতে পারে। কেননা, ভাষার দ্বারাই একটা সভ্যতা গড়ে ওঠে। তৈরি হয় তাদের নিজস্ব সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য।


সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও