কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

রোহিঙ্গা পাইলট প্রত্যাবাসন মিয়ানমারের ধাপ্পা নয় তো?

প্রথম আলো কামাল আহমেদ প্রকাশিত: ২৩ মার্চ ২০২৩, ১৩:০৪

বাংলাদেশ, ভারত, চীন ও আসিয়ান দেশগুলোর কূটনীতিকদের রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনের প্রস্তুতি দেখাতে মিয়ানমারের সামরিক জান্তার সর্বশেষ পদক্ষেপটি বেশ চমকপ্রদ। এসব দেশের কূটনীতিকদের ৯ মার্চ রাখাইন রাজ্যের মংডু ও সিতওয়েতে নিয়ে যাওয়া হয়। তাঁদের বলা হয়, মিয়ানমার সরকার দ্রুতই প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া শুরু করতে চায়।


অবশ্য তারা কোনো তারিখ দেয়নি, কিন্তু হঠাৎ করেই কক্সবাজারে একটি প্রতিনিধিদল পাঠিয়েছে হাজারখানেকের কিছু বেশি রোহিঙ্গার নাগরিকত্ব যাচাইয়ের জন্য। পরে জানা গেল, এ উদ্যোগের পেছনে চীন সরকারেরও কিছু ভূমিকা আছে এবং ঢাকায় চীনা রাষ্ট্রদূত প্রকাশ্যে এ প্রক্রিয়ায় তাঁর সরকারের সমর্থনের কথা জানিয়েছেন।


স্মরণ করা দরকার, ২০১৭ সালের নভেম্বরে, রাখাইন থেকে রোহিঙ্গারা বিতাড়িত হওয়ার তিন মাসের মধ্যে, অং সান সু চির নেতৃত্বাধীন তৎকালীন বেসামরিক সরকার তাদের ভাষায় বাস্তুচ্যুত মিয়ানমারের নাগরিকদের প্রত্যাবাসনের জন্য বাংলাদেশের সঙ্গে একটি দ্বিপক্ষীয় চুক্তি সই করেছিল।


তখনো চীন সেই চুক্তির জন্য মিয়ানমারকে উৎসাহিত করেছিল। এরপর জাতিসংঘ এবং অন্যান্য আন্তর্জাতিক ফোরামে যতবারই রোহিঙ্গা গণহত্যা এবং মিয়ানমার থেকে তাদের বিতাড়নের জন্য মিয়ানমারের সরকারের নিন্দা জানিয়ে এবং তাদের বিরুদ্ধে কূটনৈতিক ব্যবস্থা নিতে বিভিন্ন উদ্যোগ নেওয়ার চেষ্টা হয়েছে, ততবার


তাদের যুক্তি, নিষেধাজ্ঞা এবং কোনো জবাবদিহির ব্যবস্থার পরিবর্তে বিষয়টি দ্বিপক্ষীয় স্তরে ছেড়ে দেওয়া উচিত। ২০১৭ সালের চুক্তি অনুসারে, প্রত্যাবাসনপ্রক্রিয়ার প্রথম ধাপটি ২০১৮ সালের মধ্যে শেষ হওয়ার কথা ছিল, বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের নির্ধারিত সময়সীমা, কিন্তু তা ব্যর্থ হয়। তারপর ২০১৯ সালে আরও একবার চীন রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন শুরু করতে মিয়ানমারকে রাজি করানোর চেষ্টা চালালেও তা ব্যর্থতায় পর্যবসিত হয়।


সেই ব্যর্থ দ্বিপক্ষীয় চুক্তির ছয় বছর পর, চীনের তৃতীয় মধ্যস্থতার উদ্যোগ। কিন্তু এর মধ্যে বাস্তবতা অনেক বদলেছে। মিয়ানমারে সামরিক বাহিনী একটি নির্বাচনের ফলাফল নাকচ করে দিয়ে এবং বেসামরিক প্রশাসনকে অস্ত্রের মুখে হটিয়ে দেশটির ক্ষমতা দখল করেছে। দুই বছর আগে, ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে, সামরিক  শাসন জারির পর তারা হাজার হাজার ভিন্নমতাবলম্বী রাজনৈতিক কর্মীকে হত্যা করেছে। নতুন করে বিভিন্ন জাতিগত গোষ্ঠীর প্রায় ১৫ লাখ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে।
২০২০ সালের সাধারণ নির্বাচনে জয়ী ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসির (এনএলডি) সদস্যরা জাতীয় ঐক্যের সরকার (এনইউজি) নামে প্রবাসী সরকার গঠন করেছেন। অনেক পশ্চিমা সরকার এই এনইউজিকেই বৈধ সরকার হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও