কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

সরকার বিরোধিতার জাপা স্টাইল

সমকাল সাইফুর রহমান তপন প্রকাশিত: ১২ মার্চ ২০২৩, ০২:০০

জাতীয় সংসদের বিরোধী দল জাতীয় পার্টির (জাপা) নেতৃবৃন্দ ঘোষণা দিয়েছেন, তাঁরা সরকারের সমালোচনা অব্যাহত রাখবেন। ২৬ ফেব্রুয়ারি দলটির কো-চেয়ারম্যান, প্রেসিডিয়াম সদস্য ও সংসদ সদস্যদের যৌথ সভা থেকে এ সিদ্ধান্ত এসেছে (সমকাল ২৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩)।


সংসদের ভেতরে বা বাইরে বিরোধী দল সরকারের সমালোচনা করবে– এটাই স্বাভাবিক। সংসদীয় রাজনীতিতে বিরোধী দলের প্রধান কাজই হলো সরকারের নীতি ও কার্যক্রমের ভুলত্রুটি ধরিয়ে দেওয়া। জনস্বার্থের পক্ষে হানিকর সরকারি পদক্ষেপের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানানো; প্রয়োজনে সংসদের ভেতরে-বাইরে প্রতিরোধ গড়ে তোলা। এ দিক থেকে বিচার করলে জাপা নেতৃবৃন্দের ওই ঘোষণা অভিনব কিছু নয়। তারপরও এ নিয়ে মানুষের মাঝে কৌতূহল জাগার কারণ সম্ভবত গত অক্টোবর থেকে ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত দলটির ‘দুর্যোগপূর্ণ’ পরিস্থিতি।


স্মরণ করা যেতে পারে, দলীয়প্রধানের উপদেষ্টা পদ থেকে জাপার সাবেক সাংসদ জিয়াউল হক মৃধাকে অব্যাহতি দেওয়ায় গত সেপ্টেম্বরে তিনি এর এখতিয়ার চ্যালেঞ্জ করে নিম্ন আদালতে যান। সেই মামলায় জাপা চেয়ারম্যান হিসেবে জি এম কাদেরের দায়িত্ব পালনের ওপর নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়। জি এম কাদের এ আদেশের বিরুদ্ধে জেলা জজ আদালতে গিয়ে নিরাশ এবং তারপর হাইকোর্টে যান। সেখানে তিনি জাপা চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালনের অধিকার ফিরে পেলেও প্রতিপক্ষের আপিলের ভিত্তিতে চেম্বার জজ তা আবার স্থগিত করেন। বিষয়টা নিয়মিত শুনানির জন্য আপিল বিভাগে গেলে আদালত চেম্বার জজের দেওয়া স্থগিতাদেশ বহাল রেখে আবার–যদিও একটা নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে– বিষয়টি ফয়সালার জন্য জেলা জজের কাছে পাঠান। জেলা জজ আদালত তার গত ১৯ জানুয়ারি প্রদত্ত রায়ে উক্ত নিষেধাজ্ঞা বহাল রাখেন। ফলে জি এম কাদেরকে আবার হাইকোর্টের দ্বারস্থ হতে হয়, যেখানে গত ৫ ফেব্রুয়ারি নিষেধাজ্ঞাটি উঠে যায়।


অক্টোবর থেকে ফেব্রুয়ারি– এ চার মাস জি এম কাদেরকে শুধু রাজনৈতিক নির্বাসনেই থাকতে হয়নি, ভাঙনের দ্বারপ্রান্ত থেকে দলকে ফিরিয়ে আনার সংগ্রামও করতে হয়েছে। এ সময়ে অনেকটা বিনা মেঘে বজ্রপাতের মতো জাপার প্রধান পৃষ্ঠপোষক–যিনি তার ভ্রাতৃবধূও বটে– বেগম রওশন এরশাদ, ব্যাংককে চিকিৎসাধীন থাকলেও, দলের কেন্দ্রীয় কাউন্সিল অনুষ্ঠানের ঘোষণা দেন। এমনকি জি এম কাদেরকে বাদ দিয়ে কাউন্সিল প্রস্তুতি কমিটিও তৈরি করে ফেলেন। দৃশ্যত এর পাল্টা পদক্ষেপ হিসেবে, জি এম কাদের– সংসদের বিরোধীদলীয় উপনেতা– অনেকটা তলবি সভার মতো করে বিরোধীদলীয় নেতা রওশনকে ছাড়াই জাপা সংসদীয় দলের সভা করেন এবং সে সভার সিদ্ধান্ত হিসেবে তাঁকে সংসদের বিরোধীদলীয় নেতা রূপে স্বীকৃতি দিতে স্পিকারকে চিঠি দেন। এ নিয়ে দু’পক্ষের মধ্যে বাগ্‌যুদ্ধও চলে কিছুদিন। এক পর্যায়ে, অবশ্য, অনুমিতভাবেই সরকারি দলের নেতারা দৃশ্যপটে আসেন এবং বিগত তিনটি জাতীয় নির্বাচনে তাদের প্রধান সহায়ক শক্তিকে অখণ্ড রাখার ব্যবস্থা করেন। ‘অসুস্থ’ রওশনও দ্রুত দেশে ফিরে খোদ প্রধানমন্ত্রীর মধ্যস্থতায় দেবরের সঙ্গে বৈঠকে বসেন।


উল্লেখ্য, ২০১৪ সালের নির্বাচনের কাল থেকে দলের নীতি ও গতি নির্ধারণে বিশেষ ভূমিকার জন্য রওশন এরশাদ সরকারপন্থি পরিচিতি পেয়েছেন; যার মামলা জি এম কাদেরকে তিন মাস ভুগিয়েছে সেই মৃধাও রওশনপন্থি বলে পরিচিত। অন্যদিকে, এক সময় এ সরকারের মন্ত্রিত্ব বরণ করলেও, জি এম কাদের অন্তত ২০১৪ সাল থেকে চান যে জাপা নিজের মতো চলুক। বিশেষত ২০১৯ সালে এরশাদের মৃত্যুর কারণে দলের চেয়ারম্যান পদে অভিষেকের পর থেকে জি এম কাদের সরকারের সঙ্গে জাপার দূরত্ব প্রদর্শনে সচেষ্ট। সাম্প্রতিক সময়ে সরকারের বিভিন্ন নীতি ও পদক্ষেপের বিরুদ্ধেও জি এম কাদের–রওশনের ভাষায়– ‘বিএনপি’র মতো সমালোচনামুখর।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

এই সম্পর্কিত

আরও