![](https://media.priyo.com/img/500x/https%3A%2F%2Fimages.prothomalo.com%2Fprothomalo-bangla%252F2023-03%252F6397f96b-c9ef-4c81-a36a-07a29080daaf%252FGulistan_Building_1.jpg%3Frect%3D0%252C0%252C1600%252C1067%26auto%3Dformat%252Ccompress%26fmt%3Dwebp%26w%3D480%26dpr%3D2.6)
ভবনটি ঝুঁকিপূর্ণ, নেই যন্ত্র, উদ্ধার অভিযান ব্যাহত
গুলিস্তানের সিদ্দিকবাজারে কুইন স্যানিটারি মার্কেটের সাততলা ভবনে বিস্ফোরণের পর গতকাল বুধবার পর্যন্ত উদ্ধার অভিযান শেষ করতে পারেননি ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা। গতকাল বুধবার সকাল নয়টা থেকে দ্বিতীয় দিনের উদ্ধার অভিযান শুরু হয়। নিখোঁজ ব্যক্তিদের স্বজনেরা ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন। তাঁরা ফায়ার সার্ভিসের কর্মীদের জানান, দুজন বেজমেন্টের ভেতরে আটকে আছেন। এরপর গতকাল বুধবার বিকেল পৌনে পাঁচটার দিকে ভবনটির বেজমেন্টে থেকে দুজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। আর রাত আটটার দিকে অন্ধকারের কারণে উদ্ধার অভিযান সাময়িকভাবে স্থগিত করে ফায়ার সার্ভিস।
ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা বলেন, ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে উদ্ধার অভিযান চালাতে বিশেষজ্ঞ দলের পরামর্শ দিতে হয় উদ্ধারকর্মীদের। গতকাল বুধবার বেলা তিনটা পর্যন্ত তাঁরা কয়েকটি সংস্থার সহযোগিতা চেয়েও পাননি তাঁরা। এ ছাড়া ভবনটির বেজমেন্টে উদ্ধার অভিযান চালাতে প্রয়োজন শোরিং (ঠেক দেওয়ার) নামের বিশেষ যন্ত্রের। যা ফায়ার সার্ভিসের কাছে নেই। তাঁরা রাজউক ও সিটি করপোরেশনের কাছে এ যন্ত্রের জন্য সহযোগিতা চেয়েও পাননি বলে অভিযোগ করেন।
উদ্ধার অভিযানের সঙ্গে যুক্ত ফায়ার সার্ভিসের একাধিক কর্মী প্রথম আলোকে বলেন, বিস্ফোরণে যখন কোনো ভবনের কলাম বা বিম ক্ষতিগ্রস্ত হয়, তখন সিভিল ইঞ্জিনিয়ার দিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করাতে হয়। ভবনের ওজন হিসাব করে দেখতে হয়। ভবনের ওজন যদি ১০০ কেজি হয়, সে ক্ষেত্রে উদ্ধার অভিযানের জন্য ১৫০ কেজি ওজন সইতে পারে, এমন শোরিং যন্ত্র ব্যবহার করে উদ্ধার অভিযান চালাতে হয়। কিন্তু যন্ত্র না থাকা ও সমন্বয়হীনতার কারণে সেটি হচ্ছে না। আবার কোনো কোনো সংস্থা ভবন ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় ফায়ার সার্ভিসকে উদ্ধার অভিযানে নিরুৎসাহিত করছে। তারপরও জীবনের ঝুঁকি নিয়ে উদ্ধার অভিযান চালাচ্ছেন ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা। এতে উদ্ধার অভিযানে বিলম্ব হচ্ছে।