উচ্চ মূল্যস্ফীতিতে সবজিই যেখানে ভরসা

সমকাল হাসান মামুন প্রকাশিত: ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ০২:৩৫

চাল, আটা, ভোজ্যতেলসহ নিত্যপণ্যের দাম নতুন করে বাড়ার পর 'নিম্নআয়ের মানুষের আমিষ' বলে পরিচিত ব্রয়লার ও ডিমের দাম এক মাসের ব্যবধানে যেভাবে বেড়েছে, তা নজিরবিহীন। চাষের তেলাপিয়া, পাঙাশ আর কৈ মাছের দামও উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে। স্থিতিশীল আছে কেবল সবজির দাম। বাজারে নানা ধরনের সবজি। সরবরাহে কোনো ঘাটতি আছে বলে মনে হয় না। সর্বস্তরের মানুষের মধ্যে সবজি খাওয়ার প্রবণতাও বেড়েছে। উচ্চ আয়ের মানুষ অবশ্য স্বাস্থ্যগত কারণে আর নিম্ন আয়ের মানুষ অপেক্ষাকৃত সহজলভ্য বলে বাড়িয়ে দিয়েছে সবজি খাওয়া। গত ১০-১২ বছরে সবজির উৎপাদন কয়েক গুণ হয়েছে বলে সরকারিভাবে দাবি করা হচ্ছে। হাইব্রিড বীজ থেকে উৎপাদিত চারায় এর উৎপাদন দ্রুত বাড়ছে, সন্দেহ নেই। আজকাল সবজি ফলাতে সময়ও লাগছে কম। ফলনও বাড়ানো যাচ্ছে।


এবার শীতের শুরুতে সবজির দাম চড়া থাকলেও ধীরে ধীরে কমে এসে একটা জায়গায় স্থিত হয়েছে। রাজধানীসহ শহরাঞ্চলে বেশ কিছু লোক সবজি ব্যবসায় যুক্ত। তারা পাইকারি বাজার থেকে কিনে ছোট ছোট দোকান ও রিকশাভ্যানে সবজি বিক্রি করে থাকে। রাত ১০-১১টা পর্যন্ত তাদের সবজি বিক্রি হতে দেখা যায়। রাত যত বাড়ে, তাদের সবজির দাম তত কমতে থাকে। রাজধানীর সব বাজারে আবার দামদর এক রকম নয়। অপেক্ষাকৃত কমে পণ্যসামগ্রী পাওয়া যায়, এমন কিছু বাজার আছে। তাদের ব্যবসার খরচ কম বলে অপেক্ষাকৃত কমে বেচতে পারে। মূল্যস্ম্ফীতির চাপে পড়া নিম্ন আয়ের মানুষ এসব বিক্রেতা ও বাজার চেনে। তারা এদের শরণাপন্ন হয়। এসব বলে বোঝাতে চাইছি, গরিব মানুষ এ সময়ে অগত্যা সবজি পরিভোগের দিকে ঝুঁকে পড়েছে।


সবজি ছাড়া বলতে গেলে আর কিছুই অপেক্ষাকৃত কমে পাওয়ার সুযোগ নেই। চাল ও আটা না কিনলে তো তাদের চলে না। শিক্ষা ও স্বাস্থ্য খাতে ব্যয় কমিয়ে কিংবা একেবারে কাটছাঁট করে হলেও চাল, আটা; সেই সঙ্গে ডাল তাদের কিনতেই হবে। ভোজ্যতেলও কিনতে হবে বৈকি। সবজি রান্না করে খেতে তেল লাগবে। সেই ভোজ্যতেলের দাম তো অনেক বেড়ে গেছে এর মধ্যে। এ জন্য দায়ী করা হচ্ছে আন্তর্জাতিক বাজারকে। দেশে ডলারের দামও অনেক বেড়ে যাওয়ায় আমদানি খরচ বেড়েছে। বেড়েছে পরিবহন ব্যয়। চিনির দামও অনেক বেড়েছে এবং রমজান মাস আসতে আসতে দাম আরও বাড়বে মনে হয়। তাতে রোজাদারদের জিলাপি খাওয়ার ব্যয় বাড়বে। ইতোমধ্যে রাজধানীর মোড়ে মোড়ে বানানো জিলাপির দাম প্রায় ৫০ শতাংশ বেড়ে গেছে। ময়দার দামের ঊর্ধ্বগতিও এ জন্য দায়ী। তবে জিলাপি না খেলেও গরিবের চলবে। কিন্তু চালের দাম আরও বেড়ে গেলে কী হবে তাদের?


আমন উত্তোলন মৌসুমে এর দাম সাধারণত কমতে বা অন্তত স্থিতিশীল থাকতে দেখা যায়। এবার ঘটেছে উল্টো। চালের দাম বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। এমনকি যখন সরকারও আমদানি করছে। মাঝে খবর বেরিয়েছিল, আটার দাম প্রায় দ্বিগুণ হয়ে যাওয়ায় নিম্ন আয়ের মানুষ চালের দিকে ঝুঁকছে। তাতে চালের চাহিদা বেড়েছে নিশ্চয়। এবার দেশে আলুর উৎপাদন হয়েছে ভালো। দামও কম। চালের ওপর 'চাপ কমাতে' আমাদের শাসকরা বরাবর আলু পরিভোগ বাড়াতে বলেন। এবার তেমন পরামর্শ শোনা না গেলেও চালের বদলে আলু পরিভোগ নিশ্চিতভাবে বাড়বে অসহায় জনগোষ্ঠীতে। একে তো আমিষ থেকে বঞ্চিত, তার ওপর চালের বদলে আলুতে ঝুঁকলে চালের পুষ্টি থেকেও বঞ্চিত হবে তারা।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও