যেকোনো কারণেই হোক, আমাদের মধ্যে দূরত্ব তৈরি হয়েছিল: পূজা চেরি
প্রায় দেড় বছর প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান জাজ মাল্টিমিডিয়ার সঙ্গে চিত্রনায়িকা পূজা চেরির শীতল সম্পর্ক ছিল। প্রতিষ্ঠানটির হাত ধরেই সিনেমায় আসা এই নায়িকার। কিন্তু প্রতিষ্ঠানটির কর্ণধার আবদুল আজিজের সঙ্গে পূজা চেরির সম্পর্ক চরমে উঠেছিল। কথা বলা তো দূর, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও একে অপরের ছবি বা লেখায় কোনো প্রতিক্রিয়া দেওয়া বা মন্তব্য করতে দেখা যায়নি তাঁদের। হঠাৎই গত সোমবার দুপুরে জাজের কাছে ক্ষমা চেয়ে তাঁর ফেসবুক পেজে একটি স্ট্যাটাস দেন পূজা। এই অভিনেত্রী জানালেন, স্ট্যাটাস দেওয়ার পরপর ওই প্রযোজককে তিনি ফোনও করেছিলেন। এর পর থেকেই প্রযোজক ও নায়িকার মধ্যে সম্পর্ক এখন স্বাভাবিক।
আবদুল আজিজ ও পূজা চেরির সম্পর্কের বরফ যে গলেছে, সেটা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও বোঝা যাচ্ছে। এবারের অমর একুশে বইমেলায় ‘প্রিয়তমা, তোমাকে বলছি’ নামে একটি কবিতার বই লিখেছেন আবদুল আজিজ।
বুধবার সন্ধ্যায় বইমেলায় স্ত্রীর সঙ্গে তোলা একটি ছবি আবদুল আজিজ তাঁর ফেসবুক পেজে শেয়ার করে স্ট্যাটাস দেন। লেখেন, ‘আমার প্রিয়তমা ও “প্রিয়তমা, তোমাকে বলছি”-এর সঙ্গে। বইমেলা।’ প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই ওই স্ট্যাটাসে লাভ রিয়েক্ট দেন পূজা। মন্তব্যের ঘরেও অনেকগুলো ভালোবাসার ইমোজি দিয়েছেন।
এ প্রসঙ্গে প্রথম আলোকে পূজা বলেন, ‘আজিজ ভাই ও তাঁর স্ত্রীর সঙ্গে আমার ভালো সম্পর্ক ছিল। দুজনকে আমি খুব শ্রদ্ধা করি। আমাকেও ভালোবাসতেন তাঁরা। মধ্যে যেকোনো কারণেই হোক, আমাদের মধ্যে দূরত্ব তৈরি হয়েছিল। আমি ভুল বুঝতে পেরে ক্ষমা চেয়েছি। আমি ছোট মানুষ। ভুল হতেই পারি। সেটা তাঁরা বুঝে আমাকে ক্ষমাও করেছেন। এখন সম্পর্ক স্বাভাবিক। তাই ভাবি ও ভাইয়ার ছবি দেখে এভাবে মন্তব্য করেছি, ভালোবাসা দিয়েছি।’
পূজা আরও বলেন, ‘আমি বুঝলাম, এভাবে কাদা-ছোড়াছুড়ি করলে তো হয় না। হয়তো কোনো কথা বলছি না, ঠিক আছে; কিন্তু কাদা-ছোড়াছুড়ির মতোই অবস্থা যাচ্ছিল আমাদের মধ্যে। শুনছিলাম, জাজের সঙ্গে কাজ হবে না, কাজ করা যাবে না। মনে করলাম, সবকিছু ঠিকঠাক করে কাজ করা উচিত। কাজে মনোযোগ দিতে হবে।’