কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

কৃষ্ণাঙ্গদের ভাষার লড়াই

www.ajkerpatrika.com ড. এম আবদুল আলীম প্রকাশিত: ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ২০:২৮

কৃষ্ণাঙ্গদের ভাষার লড়াই পৃথিবীর ইতিহাসে তাদের নিজস্ব আবাসভূমি প্রতিষ্ঠার শক্তি জুগিয়েছিল। এখানেই আমাদের রাষ্ট্রভাষা আন্দোলনের সঙ্গে তাদের ভাষার লড়াইয়ের মিল পাওয়া যায়। ফেব্রুয়ারি মাস এলেই ভাষা, মাতৃভাষা, রাষ্ট্রভাষা, বিলুপ্ত ভাষা—এমন সব প্রসঙ্গ ঘুরেফিরে আলোচনায় আসে। সবচেয়ে বেশি আলোচিত হয় ভাষা আন্দোলন প্রসঙ্গ; বিশেষ করে রাষ্ট্রভাষা বাংলার মর্যাদা প্রতিষ্ঠার লড়াইয়ে ১৯৪৮ ও ১৯৫২ সালে বাংলার দামাল সন্তানেরা যে ত্যাগ স্বীকার করেছিলেন, সে প্রসঙ্গটি।


হ্যাঁ, পৃথিবীর ইতিহাসে ভাষার জন্য জীবনদানের ঘটনা এবং তার মাধ্যমে একটি জাতির আত্মপরিচয়ের ঠিকানা অন্বেষণ, সর্বোপরি একটি স্বাধীন রাষ্ট্রের জন্মদান, ব্যতিক্রমী ঘটনাই বৈকি। সত্যিই ভাষার মর্যাদা প্রতিষ্ঠায় সালাম, বরকত, রফিক, জব্বার, শফিউর, অহিউল্লাহ, আউয়ালসহ নাম না-জানা অনেক শহীদের আত্মত্যাগের ঘটনা পৃথিবীর ইতিহাসে বিরলই বটে। বাঙালির এই আত্মত্যাগের ঘটনা এখন বিশ্বব্যাপী গৌরবের আসন লাভ করেছে।


একুশে ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের মর্যাদা লাভ করায় সারা দুনিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে একুশের সেই রক্তরাঙা ইতিহাস। এখন কেবল বাংলা ভাষার মর্যাদা কিংবা সর্বাত্মক ব্যবহারের ক্ষেত্রে নয়, পৃথিবীর সব ভাষার মর্যাদা রক্ষা ও বিলুপ্তপ্রায় ভাষার পঠন-পাঠন গবেষণা এবং অস্তিত্ব রক্ষায়ও একুশের চেতনা কাজ করবে সঞ্জীবনী সুধার।


এ কারণেই বর্তমানে ভাষা আন্দোলনের স্মৃতিবিজড়িত ফেব্রুয়ারি মাস এলেই বাংলা ভাষা ছাড়াও অন্য ভাষার মর্যাদা রক্ষার সংগ্রাম প্রসঙ্গে আলোচনাও অনিবার্যভাবেই সামনে চলে আসে। এতে একদিকে যেমন আসে আমাদের পাশের দেশের বরাকতীরের ভাষার লড়াইয়ের প্রসঙ্গ, তেমনি আসে দক্ষিণ আফ্রিকার কৃষ্ণাঙ্গদের ভাষার লড়াইয়ের কথাও। এখানে দক্ষিণ আফ্রিকার জুলু ভাষার মর্যাদা রক্ষায় কৃষ্ণাঙ্গদের সংগ্রাম, আত্মাহুতি দান এবং তাকে কেন্দ্র করে স্বাধীন আবাসভূমি প্রতিষ্ঠার গৌরবদীপ্ত অধ্যায়ের কথা তুলে ধরার প্রয়াস চালানো হয়েছে।


দক্ষিণ আফ্রিকার কৃষ্ণাঙ্গদের স্কুলে তাদের মাতৃভাষা জুলুর পরিবর্তে আফ্রিকান্স ভাষা চালুর প্রতিবাদে ভাষার জন্য আন্দোলন করে সেখানকার স্কুলছাত্ররা। ১৯৭৪ সালে তৎকালীন আফ্রিকার শ্বেতাঙ্গদের সাম্রাজ্যবাদী সরকার কৃষ্ণাঙ্গ আধিক্যপূর্ণ সোয়েটো অঞ্চলে এক ফরমান জারি করে, তাতে উল্লেখ করে আফ্রিকান্স ভাষাই হবে কৃষ্ণাঙ্গদের স্কুলের শিক্ষার মাধ্যম। এরপর ১৯৭৬ সালে সর্বস্তরে অভিন্ন শিক্ষাব্যবস্থা চালুর লক্ষ্যে সরকার স্ট্যান্ডার্ড ফাইভ পর্যন্ত ইংরেজি এবং আফ্রিকান্স ভাষাকে বাধ্যতামূলকভাবে ব্যবহারের জন্য প্রজ্ঞাপন জারি করে। কিন্তু কৃষ্ণাঙ্গরা এটা মানতে অস্বীকার করে।


কারণ, তারা এত দিন তাদের মাতৃভাষা জুলু এবং ব্যবহারিক লিঙ্গুয়া ফ্রাঙ্কা ইংরেজিতে শিক্ষা গ্রহণ করত। মাতৃভাষা জুলুর পরিবর্তে শিক্ষার বাহন হিসেবে এভাবে ক্ষমতাসীন শ্বেতাঙ্গদের ব্যবহৃত জার্মান-ডাচ ভাষার মিশ্রণে গড়া আফ্রিকান্স ভাষা চাপিয়ে দেওয়ার প্রতিবাদে কৃষ্ণাঙ্গ ছাত্রছাত্রীরা আন্দোলন শুরু করে। স্কুলের অনেক শিক্ষকও অফ্রিকান্স ভাষায় শিক্ষাদানে অপারগতা প্রকাশ করেন। কিন্তু সরকার তাতে কর্ণপাত না করে ১৯৭৬ সালের ষাণ্মাসিক পরীক্ষায় কৃষ্ণাঙ্গ ছাত্রছাত্রীদের জন্য আফ্রিকান্স ভাষা বাধ্যতামূলক করলে তারা বিক্ষুব্ধ হয়ে স্কুল থেকে বেরিয়ে আন্দোলন শুরু করে।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও