গল্পের মতো যদিও গল্প নয়
আরশোলা চিৎ হয়ে আছে। তার পাগুলো আকাশের দিকে উঠে আছে। পিঠের ওপর ভর দিয়ে আর শুয়ে থাকা যাচ্ছে না। উফ্। কতদিন শুয়ে আছে সে জানে না। সম্ভবত অনন্তকাল। মনে পড়ে, সে যখন উল্টে গিয়েছিল তখন জাপানে পারমাণবিক বোমার বিস্ফোরণ ঘটেছিল হিরোশিমায় নাকি নাগাসাকিতে বিশেষ মনে পড়ে না। তবে এটুকু মনে আছে, পারমাণবিক বিস্ফোরণের কম্পনেই সে উল্টে গিয়ে চিৎ হয়ে পড়েছিল। তারপর একবার সোজা হয়েছিল। অল্প সময়ের জন্য। এরপর থেকে সে প্রায়ই উল্টে যায় এবং দিনের বেশিরভাগ সময় ওল্টানো অবস্থাতেই কাটে।
উল্টে যাওয়ার ঘটনার মধ্য দিয়েই আরশোলাদের মধ্যে ঈশ^র-ভাব তৈরি হয়েছিল। সম্প্রতি বিকশিত তাদের মিথে ঈশ^র একজন উল্টে থাকা আরশোলা নাম তেলাচোরা বাণেশ^র। তার আরেক নাম সহস্রপাদ। শোনা যাচ্ছে, তাদের একটা কিতাব রচিত হচ্ছে, নাম ‘তিয়েল’। বিশদ নাম শ্রীমদন তেলাশ্রম বাণপঞ্চম রমণচন্দ্রম মধুমেহন।