জনসন্তুষ্টির বিদ্যুৎ হচ্ছে গণ-অস্বস্তির কারণ!

www.ajkerpatrika.com অরুণ কর্মকার প্রকাশিত: ০৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ১৮:০০

বিদ্যুৎ খাতে সরকারের যে সাফল্য সারা দেশের মানুষকে দারুণভাবে খুশি করেছিল, এ বছর সেই বিদ্যুৎই হয়ে উঠতে পারে গণমানুষের সবচেয়ে বড় অস্বস্তির কারণ। এর সব লক্ষণ এখন স্পষ্ট। চলতি ফেব্রুয়ারির শেষ কিংবা আগামী মার্চ মাস থেকে তা প্রকট হয়ে ওঠার আশঙ্কা হয়েছে।


গত এক যুগে বিদ্যুৎ উৎপাদনের সক্ষমতা অর্জনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকারের অভূতপূর্ব সাফল্য প্রশ্নাতীত। এই সময়ে শুধু যে দেশের ক্রমবর্ধমান চাহিদা অনুযায়ী বিদ্যুৎ উৎপাদনের সক্ষমতা অর্জিত হয়েছে, তা-ই নয়, চাহিদার তুলনায় বেশি বিদ্যুৎ উৎপাদনের সামর্থ্যও অর্জন করেছে দেশ।


এক যুগে দেশের প্রতিটি ঘরে (হাউসহোল্ড) বিদ্যুৎ-সংযোগ দেওয়া হয়েছে। দেশে এখন আর বিদ্যুৎ-সংযোগ ছাড়া কোনো বাড়িঘর নেই। নতুন কোনো পরিবার বিদ্যুৎ-সংযোগের জন্য আবেদন করলেও অবিলম্বে তা পেয়ে যাচ্ছে। যেখানে জাতীয় গ্রিড-সংযোগ নেই, অর্থাৎ অফগ্রিড এলাকায় বাড়িভিত্তিক সৌরবিদ্যুৎ (সোলার হোম সিস্টেম), সোলার মিনি গ্রিড, মাইক্রো গ্রিড থেকে বিদ্যুৎ-সংযোগ দেওয়া হয়েছে।


সরকারের এই সাফল্যে দেশের শ্রেণি-পেশা, সামাজিক অবস্থাননির্বিশেষে জনসাধারণ সন্তুষ্ট হয়েছে। সরকারের ওপর তাদের আস্থা বেড়েছে। তারা এই সাফল্য উদ্‌যাপনও করেছে। যদিও উৎপাদন সক্ষমতার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে বিদ্যুতের সঞ্চালন ও বিতরণব্যবস্থা উন্নত ও সম্প্রসারিত হয়নি। তারপরও দেশের সর্বস্তরের মানুষ বিদ্যুতের সুফল ভোগ করেছে। বিদ্যুৎ খাতে সরকারের সাফল্য দেশে ব্যাপক জনসন্তুষ্টির জোয়ার সৃষ্টি করেছিল।


কিন্তু কোভিড-১৯-পরবর্তী সময়ে সারা পৃথিবীতে যখন পূর্ণোদ্যমে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড শুরু হতে থাকে, তখন চাহিদা বাড়তে থাকে জ্বালানির।


ফলে বিশ্ববাজারে জ্বালানির চাহিদা ও মূল্যবৃদ্ধির প্রবণতা তৈরি হয়। এর পরপরই গত বছরের ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে রাশিয়ার বিশেষ সামরিক অভিযান শুরু হলে জ্বালানির বিশ্ববাজারে সৃষ্টি হয় টালমাটাল পরিস্থিতি।


একদিকে সব ধরনের জ্বালানি পণ্যের দাম বাড়তে থাকে। পাশাপাশি বাড়তে থাকে মার্কিন ডলারের দাম। তার অনিবার্য পরিণতি হিসেবে কমতে থাকে দেশীয় মুদ্রা টাকার মান। ফলে পৃথিবীর অধিকাংশ দেশের মতো বাংলাদেশও সেই পরিস্থিতির শিকার হয়। জ্বালানির দাম রেকর্ড পরিমাণে বাড়িয়েও সরবরাহ স্বাভাবিক রাখা সরকারের পক্ষে সম্ভব হয়নি। কারণ, অতি উচ্চমূল্যের ডলার দিয়ে চাহিদা অনুযায়ী জ্বালানি আমদানি করা সম্ভব হয় না। আর জ্বালানি না হলে বিদ্যুৎ উৎপাদন হয় না। কাজেই চাহিদার তুলনায় বিদ্যুৎ উৎপাদনও কম করতে হয়।


এই পটভূমিতে আসে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) তাদের ঋণ প্রস্তাব নিয়ে। সঙ্গে নিয়ে আসে আর্থিক খাত সংস্কার, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে ভর্তুকি প্রত্যাহারের মতো কিছু শর্ত। সরকার এর আগে থেকেই জ্বালানির দাম বাড়াতে শুরু করে। এর মধ্যে সরকার পড়ে যায় অর্থসংকটে। ফলে বাজেট বাস্তবায়নেও সরকারের বিপুল পরিমাণ অর্থসহায়তা দরকার হয়। এ অবস্থায় আইএমএফের ঋণপ্রাপ্তি নিশ্চিত করার জন্য সরকার জ্বালানি তেল ও গ্যাসের পাশাপাশি বিদ্যুতেরও দাম বাড়াতে শুরু করে। এখন প্রতি মাসের শেষে পরবর্তী মাসের জন্য বিদ্যুতের দাম সমন্বয় করার সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন শুরু করেছে সরকার।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও