পুতিনবাদ রণাঙ্গনে কাজ করবে না
সম্প্রতি রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় স্বয়ং চিফ অব জেনারেল স্টাফ ভ্যালেরি গেরাসিমভকে ইউক্রেনে যুদ্ধরত রুশ বাহিনীর নেতৃত্বভার দিল। মাত্র তিন মাস আগে ওই দায়িত্বে নিয়োগ পাওয়া জেনারেল সের্গেই সুরোভিকিনকে গেরাসিমভের ডেপুটি পদে অবনমন দেওয়া হয়েছে। রদবদলটি নানা জল্পনা-কল্পনার জন্ম দিয়েছে। মজার ব্যাপার হচ্ছে, সুরোভিকিনকে রুশ এবং ইউক্রেনীয় উভয় পক্ষের যোদ্ধারাই মস্কোর অন্যতম দক্ষ কমান্ডার হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছেন। তিনি ইউক্রেনের বিচ্ছিন্ন শহর খেরসনকে ধরে রাখা অর্থহীন মনে করে এটি পরিত্যাগ করতে প্রেসিডেন্ট পুতিনকে রাজি করাতে সক্ষম হন। তোপের মুখে থাকা একটি অবস্থান থেকে বাহিনী প্রত্যাহার করা কঠিন কাজ হলেও সুরোভিকিন তা সুন্দরভাবে এবং সীমিত ক্ষয়ক্ষতি স্বীকার করে সম্পন্ন করেছিলেন।
তবে তীব্র লড়াই চলা বাখমুত শহরে সুরোভিকিন শক্তি সংহতকরণের দিকেই মনোনিবেশ করেন। তিনি দক্ষিণে কথিত ‘সুরোভিকিন প্রতিরক্ষা লাইন’ স্থাপন করেন। এর মধ্য দিয়ে তিনি এ বছরের নতুন আক্রমণের জন্য সংরক্ষিত সেনাদের আগমনের ক্ষেত্র প্রস্তুত করেছিলেন। ইউক্রেনের বিদ্যুৎ ও পানীয় জলের অবকাঠামোর ওপর নির্বিচার বোমাবর্ষণের পরিকল্পনাও সুরোভিকিনেরই। ইউক্রেনীয়দের মধ্যে হতাশা সৃষ্টি, সীমিত জরুরি সম্পদ স্থাপনা মেরামতের কাজে ব্যবহারে বাধ্য করা এবং সম্ভবত আরও বেশি শরণার্থীকে ইউরোপে তাড়ানো ছিল এর উদ্দেশ্য। বস্তুত সুরোভিকিনকে তুলনামূলক সক্ষমই মনে হয়েছে যদিও তা পুতিনের জন্য যথেষ্ট ছিল না। আসলে পুতিন একজন বলির পাঁঠা চেয়েছিলেন, আর সুরোভিকিনই হলেন সেই পাঁঠা।