কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

জাতীয় কবিতা উৎসব ও কিছু আক্ষেপ

সমকাল আনিসুর রহমান প্রকাশিত: ৩১ জানুয়ারি ২০২৩, ০১:৩৪

জাতীয় কবিতা পরিষদের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা কবি শামসুর রাহমান ১৯৮৯ সালে ঢাকার একটি খবরের কাগজে লিখেছিলেন- 'আমরা কয়েকজন জাতীয় কবিতা পরিষদ কার্যালয়ে জমিয়ে কথাবার্তা বলছিলাম। আমাদের আলাপ-আলোচনার মাঝখানে এসে হাজির হলেন আহমদ ছফা। কিছুক্ষণ চুপ থেকে তিনি সিগারেট ধরালেন, তারপর ঘন ঘন ধোঁয়া ছড়িয়ে আমাদের আলোচনায় যোগ দিলেন। তিনি আমাদের অনেক কিছুই অনুমোদন করেন না, দূরে দূরে থাকেন; তবু তাঁকে আমরা আমাদের একজন বলেই গ্রহণ করেছি, যদিও আমাদের এই গ্রহণ করা আর না করার জন্য তাঁর বিশেষ কিছু যায় আসে না। তিনি আছেন তাঁর মতো, সবসময় আমি তাঁকে বুঝতেও পারি না।'


জাতীয় কবিতা পরিষদ প্রতিষ্ঠার প্রেক্ষাপট কমবেশি প্রায় সবাই জানি। ১৯৮৭ সালে এশীয় কবিতা উৎসবের নামে স্বৈরাচারী এইচএম এরশাদের খায়েশে ধ্বজাধারী আমলা, মন্ত্রী, পাইক-পেয়াদা কিছু কবি-অকবি, আধা-কবির মেলবন্ধন ঘটেছিল। এই প্রহসন শামসুর রাহমানসহ কিছু তরুণ ও পরিণত বয়সের কবি মেনে নিতে পারেননি। প্রতিবাদ হিসেবে জন্মলাভ করল জাতীয় কবিতা পরিষদ। এরই ধারাবাহিকতায় প্রায় চার দশক ধরে অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে জাতীয় কবিতা উৎসব।


শামসুর রাহমান ১৯৮৯ সালে ছিলেন ৬০ বছরের পরিণত মানুষ; রবীন্দ্র-উত্তর বাংলা কবিতার জগতে আলোচিত নাম। আহমদ ছফার বয়স তখন ৪০-এর কোঠায়। তাঁর মধ্যে তারুণ্যের উদ্যম ও দ্রোহকে নেতিবাচকভাবে না নিয়ে শামসুর রাহমান তাঁকে আশ্রয় দিয়েছেন, ধারণ করেছেন। এমনকি পত্রিকায় লিখে স্বীকৃতি দিয়েছেন। লেখালেখির জগতে ধারণ করার শক্তি, মেধা ও প্রতিভা বড় বেশি দরকার। বিশেষ করে জাতীয় সংগঠনে তা আরও বেশি জরুরি। প্রতিষ্ঠার চার দশকে ম্রিয়মাণ হয়ে পড়া কবিতা পরিষদ কি সেই 'গ্রহণ' এবং 'ধারণ'-এর ধারায় আছে?


শঙ্খ ঘোষ বলে গেছেন- 'এক দশকে সংঘ ভেঙে যায়'। এখানে সংঘ ভেঙে যাওয়া মানে সংগঠন বিলুপ্ত হয়ে যাওয়া নয়। এর মানে, পরিণতরা নতুন সংঘকে জায়গা ছেড়ে দেবেন বা তারুণ্যকে স্বাগত জানাবেন। আজকে কবিতা পরিষদে কি নতুনদের জায়গা ছেড়ে দেওয়া হচ্ছে? কবিতা পরিষদ কিংবা উৎসবের আড়ালে তারুণ্যের বন্ধ্যত্বকাল পার করছি না তো আমরা?


সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও