ফারুকীর আরও শাস্তি হোক!

প্রথম আলো আসিফ নজরুল প্রকাশিত: ২১ জানুয়ারি ২০২৩, ১২:৩৫

১০ থেকে ১২ বছর আগে আমি নিয়মিত ফুটবল খেলতাম। খেলতাম ফুলার রোডের মাঠে, অন্য শিক্ষকদের উঠতি বয়সের ছেলেদের সঙ্গে। তারা ছিল শক্তিশালী ও লড়াকু ধরনের, ফুটবল ছিল তাদের ধ্যানজ্ঞান। খেলতে খেলতে প্রায় রাত নেমে এলে ক্ষান্ত হতো একপর্যায়ে।


এমন ফুটবল–পাগলদের সঙ্গে খেলছি একদিন, হঠাৎ শুনি ‘ফারুকী আসছে, ফারুকী আসছে’ বলে রব উঠল মাঠে। মাঠের পাশের রাস্তা সোজা চলে গেছে বাইরের ফটকের দিকে। দেখি ক্যাপ পরা শীর্ণ দেহের একটা মানুষ দ্রুত পায়ে হেঁটে যাচ্ছে সেদিকে আর তার পেছনে পেছনে ছুটে যাচ্ছে আমাদের ফুটবলাররা।


সে অবশেষে পেছন ঘুরে কথা বলল তাদের সঙ্গে, তারা একসময় ফিরে এল, কিন্তু খেলায় আর মন বসল না তাদের। একজন আমাকে বিহ্বলভাবে বলল, ‘আঙ্কেল, ফারুকী এসেছিল, মোস্তফা সারোয়ার (সরয়ার) ফারুকী, চিনেন না?’ প্রবলবেগে মাথা নেড়ে বললাম, চিনি, চিনি। তারপর অবাক হয়ে ভাবতে থাকলাম, শুধু টেলিভিশনের নাটক বানিয়ে এত জনপ্রিয় হয় মানুষ!


সেই ফারুকী তারপর আরও কত বিস্ময়ের জন্ম দিল। সে সিনেমা বানানো শুরু করল, তার সিনেমা পৃথিবীর নামকরা সব ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে প্রশংসিত হলো, জুরি হিসেবে তাকে ডাকা হলো বড় বড় আসরে, তাকে নিয়ে লেখালেখি শুরু হলো নামীদামি গণমাধ্যমে। সে এবং তার হাতে তৈরি হওয়া একঝাঁক নতুন নির্মাতা আমাদের ফিরিয়ে আনল টেলিভিশনের পর্দায় বা টেনে নিল ওটিটি প্ল্যাটফর্মে।


এমন একজন মানুষের সৃজনশীলতাকে সর্বতোভাবে প্রমোট করার কথা দেশের কর্তাব্যক্তিদের। আর সেই ফারুকী এখন নিথর হয়ে বসে আছে একটা সিনেমা বানিয়ে। হোলি আর্টিজানের মর্মান্তিক ঘটনা অবলম্বনে চার বছর আগে তার নির্মিত শনিবার বিকেল নামের সিনেমাটি আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব ও গণমাধ্যমে প্রশংসিত হয়েছে। দেশে যারা দেখার সুযোগ পেয়েছে, তারাও মুগ্ধ এটা নিয়ে। কিন্তু সরকারের সেন্সর বোর্ড তা প্রেক্ষাগৃহে প্রদর্শনের ছাড়পত্র আটকে রেখেছে বছরের পর বছর ধরে। সে–ও এমনি খেলো যুক্তিতে, এমনি অদ্ভুতভাবে যে এর সঙ্গে একমত হওয়া অসম্ভব মুক্তমনের মানুষের পক্ষে।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

এই সম্পর্কিত

আরও