এই বৎসর ঋতুচক্রের নিয়ম অনুসরণ করিয়া পৌষের সূচনালগ্নেই শীতকালের আগমন ঘটে নাই। কিন্তু মাসটির মধ্যবর্তী পর্যায়ে যখন আসিয়াছে, বিলম্বের মাশুল যেন পোষাইয়া দিতেছে উহার তীব্রতা দিয়া। উত্তরবঙ্গে তো বটেই, খোদ রাজধানীতেও জাঁকিয়া বসিয়াছে হিম ও কুয়াশা।
আবহাওয়া অধিদপ্তরকে উদ্ৃব্দত করিয়া রবিবার সমকালের এক প্রতিবেদনে বলা হইয়াছে- পৌষ অতিক্রম করিয়া মাঘের শেষাবধি থাকিতে পারে শীতের রুদ্র রূপ। অর্থাৎ এই বৎসর প্রকৃতির নিয়ম মানিয়া পৌষ ও মাঘ- দুই মাসই শীত অবস্থান করিবে দাপটের সহিত; বিগত কয়েক বৎসরে যাহা প্রায় বিরল হইয়া পড়িয়াছিল। ঋতুচক্রের এই স্বাভাবিকতায় সন্তোষের যথেষ্ট কারণ থাকিলেও, দুঃখজনকভাবে জনজীবনে স্বস্তি মিলিতেছে না। রবিবারই সমকালের অপর এক প্রতিবেদনে বলা হইয়াছে, গত কয়েক দিনের তীব্র শীতের কারণে দেশের উত্তর ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চল, তৎসহিত রাজধানীতে বিশেষ করিয়া দিবসের উপার্জনেই নিশি উতরানো শ্রমজীবী মানুষ কর্মহীন হইয়া পড়িয়াছেন। যাঁহারা রিকশা চালাইয়া সংসার চালান; শীতের প্রকোপে তাঁহারা হয় রিকশা বন্ধ করিয়া গৃহে পা গুটাইয়া থাকিতে বাধ্য হইতেছেন, নতুবা প্রয়োজনীয় অর্থ উপার্জনের পূর্বেই গৃহে ফিরিতেছেন।
- ট্যাগ:
- মতামত
- শীতার্ত পরিবার
- শীতার্ত
- শীতার্ত মানুষ