কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

You have reached your daily news limit

Please log in to continue


তিন থেকে আট বছরের মধ্যে বাংলাদেশ রাষ্ট্রটি সংস্কার করা সম্ভব

হাসনাত কাইয়ুম রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক, রাষ্ট্রচিন্তার প্রতিষ্ঠাতা ও আইনজীবী। রাজনৈতিক জীবনের শুরুতে ছাত্র ফেডারেশনের প্রতিষ্ঠাকালীন সহসভাপতি ও বাংলাদেশ লেখক শিবিরের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেছেন। তার দল রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন, সাতদলীয় জোট—গণতন্ত্র মঞ্চের অন্যতম সদস্য। রাষ্ট্র সংস্কার, রাজনৈতিক সংকট, সুশাসন ও উন্নয়ন নিয়ে কথা বলেছেন বণিক বার্তার সঙ্গে।

ভবিষ্যৎ বাংলাদেশ কেমন হতে পারে?

হাসনাত কাইয়ুম: বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ নিয়ে আমি প্রচণ্ড আশাবাদী। কয়েক বছর আগে বলেছিলাম একটা সময় মানুষ প্রশ্ন করবে রাষ্ট্র সংস্কারের পক্ষে না বিপক্ষে। আজকে আমরা তাই দেখতে পাচ্ছি। বাংলাদেশের ইতিহাসও এ রকম। ১৯৪০ সালে লাহোর প্রস্তাব হয়েছে, ১৯৪৭ সালে পাকিস্তান রাষ্ট্র সৃষ্টি হয়েছে। ১৯৬৬ সালে ছয় দফা প্রস্তাব হয়েছে, ১৯৭০ সালে স্বাধীন হওয়াটা নিশ্চিত হয়ে গেছে। ১৯৭১ সালে দেশ স্বাধীন হয়। ২০২২ সালে রাষ্ট্র সংস্কারের প্রস্তাব মানুষের সামনে আসছে। তিন থেকে আট বছরের মধ্যে বাংলাদেশ রাষ্ট্রটি সংস্কার হবে বলে আমি মনে করি।

বাংলাদেশ রাষ্ট্রকে সংস্কারের জন্য আপনাদের পদক্ষেপগুলো কী?

হাসনাত কাইয়ুম: রাষ্ট্রের সাতটি জায়গায় আমরা সংস্কার করব। এগুলো করতে পারলে পুরো রাষ্ট্রটি স্বাভাবিকভাবেই সংস্কার হয়ে যাবে।

প্রথমত নির্বাচনী ব্যবস্থায় সংস্কার করব। আমাদের নির্বাচনী ব্যবস্থাটা নেই। এটি সাংবিধানিকভাবে রুদ্ধ করা আছে। আমাদের দেশের ইতিহাসে যারা সরকারে থেকে নির্বাচন করেছে তাদেরকে কেউ ভোটে হারাতে পারেনি। সাংবিধানিকভাবে ১০৩ (৩) দিয়ে এটাকে নিশ্চিত করা হয়েছে। সেজন্য বাংলাদেশে যে ভয়াবহ ঘটনা ঘটেছে যে রাজনীতি একটা বল প্রয়োগের বিষয় হয়েছে। নিয়মতান্ত্রিক এবং গণতান্ত্রিকভাবে কখনো এখানে সরকার বদলানোর কোনো ব্যবস্থা সংবিধানে রাখা হয়নি। নির্বাচনকে শান্তিপূর্ণ ক্ষমতা বদলের মাধ্যম হিসেবে প্রথমত প্রতিষ্ঠা করতে হবে।

এর পরই সংসদকে মুক্ত করতে হবে। কারণ আইন বিভাগ এ রকম আইন বানাতে পারে যার মাধ্যমে পুলিশ সন্দেহের বসেই ওয়ারেন্ট ছাড়া কাউকে গ্রেফতার করতে পারে কিংবা এ রকম আইন বানানো যায় যে বাংলাদেশের জ্বালানি খাতে এক টাকার জিনিস আমি এক টাকা নাকি এক হাজার টাকায় কিনব সেটা নিয়ে কোনো প্রশ্ন করা যাবে না। আদালতে যাওয়া যাবে না। এ রকম অন্যায্য এবং জনস্বার্থবিরোধী আইন করতে পারার কারণে আইনসভার সদস্যদের কোনো ক্ষমতা নেই। তারা দলীয় প্রধানের কাছে দায়বদ্ধ। আইনগুলো দিয়ে চলে ও পরীক্ষা করে বিচার বিভাগ। এখন পর্যন্ত আমরা যদি ডিজিটাল সিকিউরিটি আইনের জামিনের জন্য যাই, তাহলে সে জামিন দিতে পারে না। কারণ আইন তাকে বলে রাখছে জামিন দিতে পারবা না। স্বাধীনভাবেই এটি প্রত্যেককে এ রকম অন্যায় আইনের পক্ষে রায় দিতে বাধ্য থাকবে।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন