২০২৩ সালে বিশ্বে যে ১০ ঘটনা ঘটবে
আমেরিকান বেসবল খেলোয়াড় লরেন্স ‘যোগী’ বেরার একটি কথা পর্যবেক্ষণ হিসেবে ব্যাপকভাবে উদ্ধৃত হয়ে থাকে: ‘ভবিষ্যদ্বাণী করা কঠিন, বিশেষ করে তা যদি ভবিষ্যতের বিষয়ে হয়।’ কথাটা তিনি আদৌ বলে থাকুন আর না বলে থাকুন; কথাটা কিন্তু খাঁটি।
তারপরও বছরটা কেমন যাবে, সে বিষয়ে দশটি ভবিষ্যদ্বাণী করছি।
এক.
২০২২ সালের সবচেয়ে আলোচিত ইস্যু রাশিয়া–ইউক্রেন যুদ্ধ চলতে থাকবে; যদিও লড়াইয়ের তীব্রতা কিছুটা কমে আসতে পারে। এই লড়াইয়ের সামরিক বিজয় বলতে যদি এক পক্ষের দ্বারা অন্য পক্ষকে সামরিকভাবে ধসিয়ে দেওয়া এবং যুদ্ধ-পরবর্তী সীমানা নির্ধারণ ও রাজনৈতিক মীমাংসার শর্তাবলি নির্ধারণের ক্ষমতা প্রতিপক্ষকে নাস্তানাবুদ করা পক্ষটির হাতে থাকা দিয়ে সংজ্ঞায়িত করা হয়, তাহলে সেই সংজ্ঞা অনুসারে এই যুদ্ধে এই বছর রাশিয়া বা ইউক্রেন—কেউই সম্পূর্ণ সামরিক বিজয় পাবে না।
কূটনৈতিক বিজয় হিসেবে যদি এমন একটি পর্যায়ে পৌঁছানোকে সংজ্ঞায়িত করা হয়, যেখানে উভয় সরকারই সন্ধিপত্রে সই করতে রাজি হবে এবং সন্ধির শর্ত মেনে চলবে; তাহলে সেই সংজ্ঞা অনুসারে কূটনীতিকেরাও কোনো বিজয় পাবেন না। কারণ, শান্তির জন্য নেতাদের মধ্যে দুটি জিনিস থাকা প্রয়োজন। একটি হলো সমঝোতা করার ইচ্ছা এবং অপরটি হলো সমঝোতার সক্ষমতা। আর এই দুটি উপাদান উভয় পক্ষের নেতাদের মধ্যে স্পষ্টতই অনুপস্থিত।
দুই.
যদিও অনেক নীতিনির্ধারক তাইওয়ানের বিরুদ্ধে যুদ্ধের আশঙ্কার কথা বলছেন, তবে ২০২৩ সালে এই যুদ্ধের আশঙ্কা খুবই কম বলে মনে হচ্ছে। চীনের নেতা সি চিন পিং কোভিড-১৯ সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতির সঙ্গে লড়াই করছেন। এই মহামারি এখনো তাঁর দেশের স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থাকে কাবু করে রেখেছে। এটি ক্ষমতাসীন কমিউনিস্ট পার্টির সক্ষমতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে এবং চীনের মন্থর অর্থনীতিকে আরও দুর্বল করে দিচ্ছে। চীন কোনোভাবেই প্রয়োজনসাপেক্ষে বলপ্রয়োগ করে তাইওয়ানের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার লক্ষ্য পরিত্যাগ করেনি। তবে এটিও ঠিক, বেইজিং আগামী অন্তত কয়েক বছরের মধ্যে তাইওয়ানের বিরুদ্ধে আক্রমণাত্মক পদক্ষেপ নেবে না। এর বদলে তারা তাইওয়ানের ওপর চাপ বাড়াতে থাকবে।
- ট্যাগ:
- মতামত
- ভবিষ্যদ্বাণী
- আলোচিত ঘটনা
- নতুন বছর