কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

জীর্ণ ও সেকেলে রাজনীতি আর কতদিন?

সমকাল এম আর ইসলাম প্রকাশিত: ১২ নভেম্বর ২০২২, ১৬:৩১

কিছুদিন আগে ভারতের পশ্চিমবঙ্গে রাজনীতির এক চমৎকার চর্চা দেখা গেল। এক প্রথিতযশা অভিনয়শিল্পী ও রাজনীতিক অন্য রাজনৈতিক দলের নেতৃত্বের অসততা আর দুর্নীতি নিয়ে পলিটিক্যাল স্যাটায়ার ধরনের কবিতা রচনা করে এবং নিজে পাঠ করে তা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দিলেন। এর বিপরীতে অন্য এক তরুণ রাজনীতিবিদ আরেকটি কবিতা লিখে সেই অভিনয়শিল্পী ও রাজনীতিকের রাজনৈতিক ক্যারিয়ারের বিভিন্ন কানাগলি, রং-পাল্টানো চরিত্রের বিষয় তুলে ধরে সমুচিত জবাব দিলেন। এটাকে বলা হয় রাজনৈতিক চর্চা, যা করতে গেলে রাজনৈতিক প্রজ্ঞা, জ্ঞান ও সহিষুষ্ণতা দরকার। কিন্তু বাংলাদেশি রাজনীতি ও এর প্রভূত চর্চা দেখলে আপনি বুঝবেন, এখানে সবকিছুর ব্যবহার হয় বটে, কিন্তু রাজনীতির প্রকৃত চর্চা আর হয় না।


রাষ্ট্রের নীতি, আদর্শ ও স্বার্থ রাজনীতির মাধ্যমে সংরক্ষিত হয়। এখানে শিক্ষিত বা স্বশিক্ষিত মানুষের দরকার পড়ে। কিন্তু বাংলাদেশে এখন যাঁরা রাজনীতি করেন, তাঁদের অনেকেরই রাজনৈতিক জ্ঞান, প্রজ্ঞা ও অভিজ্ঞতা নেই। এমন অযোগ্য আর অগণতান্ত্রিক অসৎ রাজনীতিকদের কারণে এ দেশের রাজনীতি-সচেতন জনগণও আজ আর সক্রিয় রাজনীতিতে তেমন অংশগ্রহণ করে না। রাজনীতিতে এখন কপট, অসৎ, স্বার্থপর আর প্রতিহিংসাপরায়ণ মানুষের ভিড়। এরা রাজনীতি আর প্রতিরাজনীতির চর্চা বোঝেও না, করেও না। একটা গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে সব রাজনৈতিক দলের প্রতিপক্ষ থাকবে; থাকবে পারস্পরিক প্রতিযোগিতা। কিন্তু বর্তমানের রাজনীতিকরা তাঁদের রাজনৈতিক প্রতিপক্ষদের শত্রু ভাবেন। তাঁদের রাজনৈতিকভাবে মোকাবিলা না করে উৎখাত বা নিঃশেষ করতে চান। জনসভার বিপরীতে জনসভা, বক্তব্যের বিপরীতে আরও শানিত বক্তব্য, পলিটিক্যাল স্যাটায়ারের বিপরীতে আরেকটি জোরদার পলিটিক্যাল স্যাটায়ার তাঁরা তৈরি বা ব্যবহার করতে চান না। বিপরীত পক্ষকে দমন-নিপীড়ন কোনো রাজনৈতিক বিজয় নয়, বরং রাজনৈতিক দেউলিয়াত্ব- এটি আজ অনেকেই বুঝতে চান না। রাজনীতিতে মেধার প্রয়োগ ঘটাতে হয় বা মেধাভিত্তিক কৌশল দিয়ে যে বিপরীত পক্ষকে রাজনৈতিকভাবে পরাজিত করতে হয়- এমন উদার গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক চর্চা বাংলাদেশে এখন বিরল।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও