বিশ্বের গণতন্ত্রকামীরা নিশ্বাস ফেলার সুযোগ পেল

প্রথম আলো ভারত আলী রিয়াজ প্রকাশিত: ০৬ জুন ২০২৪, ১১:৩৪

ভারতের লোকসভা নির্বাচনের যে ফল জানা গেছে, তাতে এটা স্পষ্ট যে নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন বিজেপি এককভাবে সরকার গঠন করতে পারছে না এবং সব ধরনের পূর্বাভাসকে ভুল প্রমাণ করে কংগ্রেসের নেতৃত্বাধীন ইন্ডিয়া জোট আশাতীতভাবে ভালো ফল করেছে। সরকার গঠনের জন্য প্রয়োজনীয় ২৭২ আসন ক্ষমতাসীন এনডিএ জোটের আছে। ফলে নাটকীয় ঘটনা না ঘটলে মোদি ক্ষমতায় থাকছেন। তবে এক দশক ধরে ক্ষমতায় একটি দলের যে একচ্ছত্র প্রাধান্য ছিল, তার অবসান ঘটল। এ সবই ভারতের অভ্যন্তরীণ রাজনীতির জন্য গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু ভারতের নির্বাচনের এই ফলাফলের একটি বৈশ্বিক গুরুত্ব আছে, বৈশ্বিক রাজনীতিতে এর প্রতিক্রিয়া পড়বে, এটা প্রায় নিশ্চিত করেই বলা যায়।


প্রায় দেড় দশক ধরে সারা বিশ্বে গণতন্ত্রের বিপরীত স্রোত বইছে। গণতন্ত্রের অবনয়ন ঘটেছে এবং দেশে দেশে স্বৈরাচারী শাসকদের উত্থান ঘটেছে। ওয়াশিংটনভিত্তিক প্রতিষ্ঠান ফ্রিডম হাউসের হিসাব অনুযায়ী, এই উল্টো স্রোতের যাত্রা শুরু হয়েছে ২০০৬ সালে। এর পর থেকে সামগ্রিকভাবে অবস্থার অবনতিই ঘটছে।


লন্ডনভিত্তিক ইকোনমিস্ট ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (ইআইইউ) তাদের হিসাবে দেখিয়েছে, সারা বিশ্বের গণতন্ত্রের গড় স্কোর গত এক দশকে ৫ দশমিক ৫৫ থেকে নেমে এসেছে ৫ দশমিক ৫৩-এ। এ রকম একটি প্রেক্ষাপটে ২০২৪ সালকে বলা হয়েছে গণতন্ত্রের পরীক্ষার বছর। এর কারণ হচ্ছে এই বছর সারা দুনিয়ায় যত নির্বাচন হবে, আগে কখনোই এক বছরে এত নির্বাচন হয়নি। ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং বিশ্বের ৬৪টি দেশে এ বছর নির্বাচন হওয়ার কথা, ইতিমধ্যে অনেক দেশে নির্বাচন হয়েছে।


নির্বাচন গণতন্ত্রের অন্যতম উপাদান হলেও নির্বাচনই যে গণতন্ত্র নয়, সেটা এখন সবাই জানেন। যে কারণে সারা বিশ্বের এই নির্বাচনগুলো নিয়ে প্রশ্ন ছিল, গণতন্ত্র রক্ষায় এগুলো ভূমিকা রাখবে নাকি ঘটবে উল্টোটা? (এ কে এম জাকারিয়া, ‘নির্বাচনগুলো কি গণতন্ত্র বাঁচাবে, নাকি আরও ডোবাবে’, প্রথম আলো, ৬ মে ২০২৪) কিন্তু এতগুলো নির্বাচনের মধ্যে যেসব দেশের দিকে সবার নজর ছিল এবং আছে, তার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে ভারত, দক্ষিণ আফ্রিকা, ব্রাজিল ও যুক্তরাষ্ট্র। এর কারণ হচ্ছে আকারে এই দেশগুলো বড়, তার মধ্যে ভারতেই সর্বাধিক ভোটার।


কেবল ভোটারের সংখ্যাই ভারতের দিকে নজর দেওয়ার কারণ নয়। এর অন্যতম কারণ হচ্ছে ভারতে নরেন্দ্র মোদি ক্ষমতায় আসার পর থেকে দেশটির গণতন্ত্রের ক্রমাগত পেছনের দিকে যাত্রা। ফ্রিডম হাউসের হিসাবে দেখা যায়, ২০১৪ সালে ভারতকে বিবেচনা করা হতো মুক্ত বা ফ্রি দেশ হিসেবে। যার অর্থ হচ্ছে ভারতে গণতন্ত্রের চর্চা ছিল অবাধ, নাগরিকের অধিকার ছিল শক্তিশালী। ২০২৪ সালে ভারতকে বলা হচ্ছে আংশিক মুক্ত বা পার্টলি ফ্রি। ইআইইউর হিসাবে ভারত হচ্ছে ত্রুটিপূর্ণ গণতন্ত্র বা ফ্লড ডেমোক্রেসি।


সুইডেনভিত্তিক গবেষণাপ্রতিষ্ঠান ভ্যারাইটিস অব ডেমোক্রেসি (ভি-ডেম) ইনস্টিটিউট ২০১৮ সালে ভারতকে ‘ইলেকটোরাল অটোক্রেসি’ বা নির্বাচনের মধ্যে জেঁকে বসা স্বৈরতন্ত্র বলে চিহ্নিত করে। এর আগপর্যন্ত ভারতকে নির্বাচিত গণতন্ত্র বা ইলেকটোরাল ডেমোক্রেসি বলেই বিবেচনা করা হতো। অবস্থার ক্রমাবনতির প্রেক্ষাপটে ২০২৪ সালের প্রতিবেদনে ভি-ডেম ভারতকে বলেছে, ‘সবচেয়ে খারাপ স্বৈরাচারকরণকারী’ (ওয়ার্স্ট অটোক্রেটাইজার) দেশগুলোর একটা।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও