শরীফ উদ্দিনেরা কি এভাবেই হেরে যাবেন

www.ajkerpatrika.com প্রকাশিত: ১২ নভেম্বর ২০২২, ১৫:১৬

শরীফের বিরুদ্ধে যে নিয়ম ভঙ্গের অভিযোগ তোলা হয়েছে, এর আগে কর্তৃপক্ষ তাঁকে কারণ দর্শানোর কোনো নোটিশ দিয়েছিল কি না অথবা নিয়ম ভঙ্গের জন্য কোনো শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছিল কি না, সে কথারও কোনো উল্লেখ নেই।


আজকের পত্রিকায় ৬ নভেম্বর প্রকাশিত একটি শিরোনাম সবার দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে। শিরোনামটি ছিল ‘দুদকের সেই শরীফ এখন দোকানদার’। দুদকের চাকরিচ্যুত সাবেক উপসহকারী পরিচালক শরীফ উদ্দিনের সঙ্গে যে নির্দয় আচরণ করা হয়েছে, সে-সম্পর্কে অনেকেরই হয়তো কম-বেশি জানা। তাঁর অপরাধ, তিনি সৎপথে থেকে তাঁর ওপর অর্পিত দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে দুর্নীতিতে জড়িত দেশের কিছু রাঘববোয়ালের আসল চেহারা উন্মোচন করেছিলেন। শরীফ উদ্দিন যখন এ কাজগুলো করছিলেন, তখন হয়তো ভাবেননি যে ভিমরুলের চাকে খোঁচা দিতে যাচ্ছেন; এই খোঁচার ভার তিনি সামাল দিতে পারবেন কি না? দুঃখজনক হলো, শরীফ যে কর্তৃপক্ষের জন্য এই দুঃসাহসিক কাজগুলো করেছিলেন, সেই কর্তৃপক্ষ তাঁকে পুরস্কৃত না করে উল্টো চাকরিচ্যুত করেছে। শরীফ উদ্দিন প্রায় সাড়ে তিন বছর দুদকের চট্টগ্রাম সমন্বিত কার্যালয়ে কর্মরত ছিলেন। তখন তিনি বড় বড় প্রকল্পের দুর্নীতির চাঞ্চল্যকর সব তথ্য বের করে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে এক ডজনের বেশি মামলা করেছিলেন।


দুদকের নিয়ম অনুযায়ী, যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমোদন নিয়েই তিনি এ মামলাগুলো করেছিলেন। অথচ শেষ পর্যন্ত তাঁকেই এই দুর্ভাগ্যের শিকার হতে হলো। শরীফ উদ্দিন তাঁর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের অনুমোদনক্রমে এসব দুর্নীতির তদন্ত করেন। তাঁর ঊর্ধ্বতনেরাই এ তদন্ত করতে তাঁকে সম্পূর্ণ স্বাধীনতা দিয়েছিলেন। তাই শত বাধাবিপত্তি সত্ত্বেও তদন্তে যাঁদের নাম এসেছে, তাঁদের বিরুদ্ধে তিনি রিপোর্ট দিয়েছিলেন। তদন্তের সময় অথবা তিনি যখন মামলার অনুমতি চান, তখনো তাঁর কর্তৃপক্ষ একবারের জন্যও বলেনি যে শরীফের কাজে ভুল হচ্ছে। অথচ মামলা করার পর যখন চারদিক থেকে চাপ আসা শুরু হলো, তখন সেই কর্তৃপক্ষই তাঁর সঙ্গে উল্টো আচরণ করে। ফলে যা হওয়ার তাই হয়েছে। দুর্নীতির আশ্রয় না নিয়েও তাঁর চাকরিটা চলে যায়। পেটের দায়ে তাঁকে চট্টগ্রামের ষোলশহর রেলস্টেশনের প্ল্যাটফর্মে ক্যাশিয়ার হিসেবে তাঁর ভাইয়ের একটি কনফেকশনারির দোকান সামলাতে হচ্ছে।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

এই সম্পর্কিত

আরও