ঢাবির নামে বরাদ্দ করা জমিতে অন্যদের নজর
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে পূর্বাচলে প্রায় ৫২ একর জমি দেওয়া হলেও সেই জমি বুঝে নিতে অর্থ বরাদ্দ দিচ্ছে না শিক্ষা মন্ত্রণালয়। ফলে রাউজকের কাছ থেকে জমি নিতে পারছে না ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। সূত্র বলছে, এই ফাঁকে জমিটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের নামে নেওয়ার চেষ্টা করছে একটি প্রভাবশালী মহল। সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ও জমির একটি অংশ নিতে চায়।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) কাছে ১০০ একর জমি চেয়েছিল। ২০১৮ সালের জুন মাসে পূর্বাচলের ১২ নম্বর সেক্টরে প্রায় ৫২ একর জমি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নামে সাময়িকভাবে বরাদ্দ দেয় রাজউক। প্রতি কাঠা ১৫ লাখ টাকা করে ওই জমির মোট দাম ধরা হয় প্রায় ৪৭২ কোটি টাকা।
নথিপত্র বলছে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এই জমি বুঝে নেওয়ার জন্য অর্থ বরাদ্দ দিতে ২০১৮ সালে শিক্ষা মন্ত্রণালয়কে চিঠি দেয়। কিন্তু এখনো সেই টাকা ছাড় করেনি মন্ত্রণালয়।
জমি চেয়ে রাজউককে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় যে চিঠি দিয়েছিল, তাতে বলা হয়েছিল, ৬০০ একর জমি নিয়ে যাত্রা শুরু করা বিশ্ববিদ্যালয়টির এখন ২৫০ একর জমি আছে। দেশের প্রয়োজনে ও নানা অজুহাতে বাকি জমি নিয়ে নেওয়া হয়েছে। শিক্ষা ও গবেষণা কার্যক্রম উন্নত করার জন্য পূর্বাচলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জমি প্রয়োজন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এখন বলছে, তারা পূর্বাচলের জমিতে গবেষণা ও উদ্ভাবন ক্যাম্পাস করতে চায়। বিশ্ববিদ্যালয়টির উপাচার্য মো. আখতারুজ্জামান প্রথম আলোকে বলেন, পূর্বাচলের জমিতে কী করা হবে, সে বিষয়ে একটি ধারণাপত্র তৈরি করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। এটি যাতে চূড়ান্ত করা হয়, সে ব্যাপারে ‘প্রধানমন্ত্রীর অনুশাসন ও নির্দেশনা’ চাওয়া হয়েছে।