অশনি সংকেত!

যুগান্তর ড. মুহাম্মদ ইসমাইল হোসেন প্রকাশিত: ০৫ নভেম্বর ২০২২, ১০:১৮

বিখ্যাত চলচ্চিত্র নির্মাতা সত্যজিত রায় বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপন্যাস অবলম্বনে পঞ্চাশের মন্বন্তরের ওপর ভিত্তি করে ১৯৭৩ সালে ‘অশনি সংকেত’ নামে একটি চলচ্চিত্র নির্মাণ করেন। ১৩৫০ বঙ্গাব্দে (১৯৪৩ খ্রি.) দুই বাংলায় দুর্ভিক্ষের করাল থাবা বিস্তৃত হয়ে লাখ লাখ মানুষ মৃত্যুবরণ করায় সেই দুর্ভিক্ষের নাম হয়েছিল পঞ্চাশের মন্বন্তর।


দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ চলাকালীন চাল, ডাল, তেল, নুন সবকিছুর মূল্য আকাশচুম্বী হয়ে পড়ায় সেসব পণ্য সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতার বাইরে চলে গেলে লাখ লাখ মানুষ অনাহারে প্রাণ হারিয়েছিল। কলকাতার বিভিন্ন রাস্তায় শত শত মানুষের মৃতদেহ পড়ে থাকতে দেখা গেছে। খাদ্যাভাবে সারা বাংলার মানুষ দীর্ঘদিন বন জঙ্গলের কচু-ঘেঁচু, শাকপাতা খেয়ে প্রাণধারণ করতে গিয়ে বিভিন্ন রোগে রোগাক্রান্ত হওয়াসহ অপুষ্টির কারণে মারা গেলেও যুদ্ধকালীন ব্রিটিশ সরকারের পক্ষে খাবার সরবরাহ করে সেসব মানুষের প্রাণরক্ষা করা সম্ভব হয়নি।


সে সময়ে ব্রিটিশ ভারতের দুই বাংলায় ছয় কোটি ৩০ লাখ জনসংখ্যার মধ্যে প্রায় ৩০ লাখ মানুষ অনাহার, অপুষ্টি, অস্বাস্থ্যকর পরিবেশসহ চিকিৎসার অভাব ইত্যাদি কারণে মৃত্যুবরণ করে। তাছাড়া সারা বাংলার অর্ধেকেরও বেশি মানুষ দারিদ্র্যসীমার নিচে নেমে যাওয়ায় সামাজিক কাঠামোও বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছিল। এ কারণে চালের দোকান ও গুদাম লুটপাটের ঘটনাও ঘটেছিল। আর সত্যজিৎ রায় সেসব ঘটনাই তার চলচ্চিত্রে ফুটিয়ে তুলেছিলেন। আমাদের বাংলাদেশের স্বনামধন্য অভিনেত্রী ফরিদা আক্তার ববিতাও সেখানে একটি গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন।


সম্ভবত ১৯৭৪ সালে সে চলচ্চিত্রটি আমিও দেখেছিলাম। কিন্তু স্মৃতি প্রতারণার কারণে চলচ্চিত্রের সেসব ঘটনা এখন আর সঠিকভাবে মনে নেই। তবে চালের অভাবে স্কুলের একজন পণ্ডিতের থলি হাতে এখানে-সেখানে ঘোরাঘুরি করা, চালের দোকান লুট হওয়া, অভুক্ত মানুষের রাস্তায় মরে পড়ে থাকা, কোনো গৃহবধূকে পর্যন্ত একজন লম্পট বা সামন্তপ্রভুর কাছে আত্মসমর্পণের ঘটনায় সাঁঝবেলায় তাকে পরিত্যক্ত ইটভাটায় ডেকে নিয়ে সেখানে আধঘণ্টা রেখে তার শাড়ির আঁচলে কিছু চাল ধরিয়ে দেওয়া ইত্যাদি কিছু ঘটনার দৃশ্য এখনো মনে আছে। আর সেসব কারণেই দুর্ভিক্ষের নাম শুনলেই গায়ে কাঁটা দিয়ে ওঠে।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও