কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

পরীক্ষা মানে নম্বর, ফল মানে জিপিএর বিকল্প কী

প্রথম আলো তারিক মনজুর প্রকাশিত: ৩১ অক্টোবর ২০২২, ১৫:৩৬

পরীক্ষা কী এবং কেন নেওয়া হয়, এটা অভিভাবকদের জানা নেই। জানা নেই বলে তাঁরা মনে করেন, বেশি বেশি পরীক্ষা নিলে আর কিছু না হোক, খানিক পড়াশোনা অন্তত হয়। শুধু অভিভাবকদের কথা বলছি কেন, শিক্ষকেরাও পরীক্ষা নেওয়ার কারণ সম্পর্কে অবগত নন। সে জন্য কোনো কোনো স্কুলে প্রায় সারা বছরই পরীক্ষা চলতে থাকে। এর ফলে শিক্ষার্থীদের শিখন কার্যক্রম চলে পরীক্ষাকে কেন্দ্র করে।


এসব পরীক্ষায় আবার নম্বরপ্রাপ্তির ব্যাপারটাই মুখ্য হয়ে দাঁড়ায়। ফলে হরেদরে যেভাবেই হোক, বেশি নম্বর পাওয়ার জন্য শিক্ষার্থীরা চেষ্টা চালায়। চেষ্টার অংশ হিসেবে অনেকে পরীক্ষার হলে নকল নিয়ে যায়, কেউ কেউ অন্যের খাতা দেখে উত্তর লেখার চেষ্টা করে। অভিভাবকেরা এদিক দিয়ে আরেক কাঠি সরেস। তাঁরা পারলে সন্তানের হাতে প্রশ্নপত্র তুলে দেন। কারণ, নম্বরটাই তো আসল! আর শিক্ষকেরা এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে টোপ দেন—তাঁদের কাছে প্রাইভেট পড়লে শতকরা এক শ ভাগ প্রশ্ন কমন পাওয়া যাবে। হায়!


শিক্ষাক্রমে পরীক্ষাকে বলা হয় মূল্যায়ন। প্রতিটি বিষয়ের জন্য মোটাদাগে কিছু যোগ্যতা নির্ধারণ করা আছে। শিক্ষার্থী সেসব যোগ্যতার কতটুকু অর্জন করল, তা পরীক্ষার মাধ্যমে যাচাই করা হয়। পরীক্ষা যোগ্যতা যাচাইয়ের একটি প্রক্রিয়ামাত্র, শিখন কার্যক্রমের মূল লক্ষ্য মোটেও পরীক্ষা নেওয়া নয়। শিখন কার্যক্রমের মূল লক্ষ্য শিক্ষার্থীকে প্রতিটি বিষয়ের নির্ধারিত যোগ্যতাগুলো অর্জন করানো।


এ যোগ্যতা অর্জনের কাজে পাঠ্যবই মূল শিখন-উপকরণ হিসেবে কাজ করে। আর শ্রেণিকক্ষ হয় প্রধান জায়গা, যেখানে একসঙ্গে সব শিক্ষার্থীকে পাঠদান করা হয়। সারা বছর বিভিন্ন পাঠ ও কার্যক্রমের মধ্য দিয়ে শিক্ষার্থীকে বিষয়ভিত্তিক যোগ্যতা অর্জন করানো হয়। ধরা যাক, বাংলা বিষয়ে শিক্ষার্থীর জন্য নির্ধারিত একটি যোগ্যতা এমন, ‘শিক্ষার্থী কোনো গল্প পড়ে তার মূলভাব বুঝতে পারবে এবং নিজের জীবনের সঙ্গে গল্পের কাহিনি ও চরিত্রকে মেলাতে পারবে।’ শিক্ষক শ্রেণিতে পাঠ্যবই অনুসরণের মাধ্যমে এবং শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আলোচনার ভিত্তিতে এই যোগ্যতা পূরণের চেষ্টা চালাবেন।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও