কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

উত্তরাঞ্চলে গণপরিবহন বন্ধ : গাড়ি না চললে আমাদের পেটও চলে না

সমকাল প্রকাশিত: ২৯ অক্টোবর ২০২২, ১০:০৩

গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জের অসুস্থ বাছিরন বেগম (৫৬) রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে যাওয়ার জন্য এক ঘণ্টা দাঁড়িয়ে ছিলেন। ঢাকা-রংপুর মহাসড়কের গোবিন্দগঞ্জ থানা মোড় থেকে গতকাল শুক্রবার সকালে ওই হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য বের হলেও কোনো বাস পাচ্ছিলেন না। আরেক রোগী নুরুল ইসলামও বাস না পেয়ে দাঁড়িয়ে থাকার কারণে আরও অসুস্থ হয়ে পড়েন।


অন্যদিকে, পঞ্চগড় জেলা শহরের ধাক্কামারা এলাকার বিআরটিসি বাস কাউন্টারের পাশের পান দোকানদার ফজলুর রহমানের কষ্টটা আরও বেদনাদায়ক। এই দোকান চালিয়েই তাঁর পাঁচজনের সংসার চলে টেনেটুনে। গাড়ি বন্ধ থাকায় তাঁর বেচাবিক্রিও একদম বন্ধ। তিনি বলেন, 'গাড়ি না চললে হামার পেটও চলিবা নাহায়। বিআরটিসির লোকরাই হামার কাস্টমার। সকাল থেকে বসে আছু।' তিনি বলেন, 'প্রতিদিন সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত দুই থেকে আড়াই হাজার টাকা বিক্রি করি। আজকে কোনো বেচাবিক্রি নেই।'


ফজলুর রহমানের মতো অর্থকষ্টে পড়েছেন পঞ্চগড় বিআরটিসি বাস ডিপোর শ্রমিকরাও। অন্যদিকে, হঠাৎ বাস বন্ধ হওয়ায় দৈনিক মজুরিতে কর্মরত শ্রমিকরা পড়েছেন বিপাকে। অনেকের বাড়িতে চুলা জ্বালানোর মতো অবস্থা নেই বলেও মন্তব্য করেছেন বেশ কিছু মোটর শ্রমিক। রংপুর রুটের গাড়িতে কর্মরত হায়দার আলী নামে এক বাস শ্রমিক বলেন, এমনিতেই জিনিসপত্রের দাম বেশি। কিনতে হিমশিম খেতে হয়। কাজ করি, দিন আনি, দিন খাই। কিন্তু বাস বন্ধ থাকায় পরিবার-পরিজন নিয়ে বিপাকে পড়তে হবে।


দৃশ্যত বিএনপির বিভাগীয় গণসমাবেশ বানচাল করতে ডাকা রংপুর বিভাগের পরিবহন ধর্মঘটের কারণে পঞ্চগড়-রংপুর রুট হয়ে বগুড়া, রাজশাহীসহ সব রুটে বিআরটিসি বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে। সাধারণত পঞ্চগড়, রংপুর হয়ে বিভিন্ন রুটে ৩০ থেকে ৩২টি বিআরটিসি বাস নিয়মিত চলাচল করে। তবে গতকাল সকাল থেকে বিআরটিসির কোনো বাস ছেড়ে যায়নি। বগুড়া-ঢাকাগামী বিআরটিসি বাস ছাড়া অন্য যাত্রীবাহী বাস দিনাজপুর-ফুলবাড়ী হয়ে বগুড়া-ঢাকা রুটে চলাচল করছে। এতে রংপুর এবং আশপাশের এলাকার বিআরটিসির যাত্রী, শ্রমিকসহ সংশ্নিষ্টরা দুর্ভোগে পড়েছেন।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও