কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

ঢাকার কাল শুধু গড়িয়ে চলে

দেশ রূপান্তর হরিপদ দত্ত প্রকাশিত: ২৪ অক্টোবর ২০২২, ১১:২১

ঢাকা শহর আজ বাংলাদেশের বাঙালির সাংস্কৃতিক রাজধানী। দীর্ঘ কষ্টসাধ্য সংগ্রাম আর ইতিহাসের রক্তস্নাত অক্ষয় অধ্যায় সৃষ্টি করে এই সাংস্কৃতিক রাজধানীর উদ্ভব হয়। বাঙালির কলঙ্ক শুধু পলাশী যুদ্ধ নয়, বক্সারের যুদ্ধও। পলাশীতে যুদ্ধের নামে মীরজাফর আর ক্লাইভ অভিনয় করেছিল। আসল এবং সবচেয়ে হৃদয় দীর্ণ করা যুদ্ধ এবং রক্তপাত হয়েছিল বক্সারে। মীর কাসিমের পরাজয় এবং মৃত্যুই বাংলা ও বাঙালির চূড়ান্ত বিপর্যয়ের অন্ধকার কালের শুরু। তারপর ইতিহাস এবং নিয়তি হেঁটে গেছে নিরবধি। নিয়তিবাদী বাঙালি নিয়তিকে পরিত্যাগ করে নয়, বরং সঙ্গে করেই হেঁটেছে। কখনো নিয়তির বিরুদ্ধে অস্ত্র ধরেছে, কখনো আপস করেছে। সে এক আশ্চর্য স্ববিরোধী মানস চৈতন্যের জাতি। শতাব্দীর পর শতাব্দী নগর জীবনকে বাঙালি অবজ্ঞা করেছে। প্রকৃতির সঙ্গে আত্মবিলয় ঘটিয়ে কৃষিকে অস্তিত্বরক্ষার একমাত্র উপায় হিসেবেই ভেবেছে। উপনিবেশ যুগের একেবারে শেষ প্রান্তে এসে আধুনিক শিক্ষার স্পর্শ পেয়ে নগর ভীতিকে তারা জয় করতে শেখে। নগর ভীতিপ্রদ ছিল এ কারণেই যে সেখানে বাস করে রাজা-রাজন্যবর্গ এবং পরিষদ, এবং অবশ্যই সৈন্য-সামন্ত। প্রাচীন বাঙালির কল্পনায় ছিল দৈত্য দানবের আবাস যে রূপকথায়, নগর তারই প্রতিকল্প।


সাতচল্লিশের দেশ ভাগ চরম রাজনৈতিক এবং স্থিরতার কাল। চরম সংকটও বটে। তবু নতুন স্বপ্ন তাড়িয়ে জনতা গ্রাম ছেড়ে শহরে ঢুকে পড়ে। ঢাকাসহ প্রতিটি জেলা ও মহকুমা শহরে নতুন বাসিন্দার আনাগোনা শুরু হয়। শহরের জন-বিন্যাসের বদল ঘটতে থাকে। সংস্কৃতির দীর্ঘস্থায়ী ভাঙা-গড়ার এক অস্থির কাল আচমকা সামনে এসে দাঁড়ায় বাঙালির। পুরাতন সমাজ আর নবাগত সমাজের সাংস্কৃতিক দ্বন্দ্বের ভেতর দিয়ে অভিনতুন রূপ সামনে আসে। ভেঙেপড়া পুরাতন সমাজ, পরিবার এবং শ্রেণির বিন্যাস উপড়ে ধর্ম পরিচয়ে দেশান্তর হতে থাকলে যে শূন্যতা সৃষ্টির পূর্ণতা নতুন বাসিন্দার দ্বারা, তারা আবার পরস্পর অচেনা। তাদের আঞ্চলিক ভাষা এবং জীবনচর্চাও আলাদা। এভাবেই পূর্ববঙ্গের গ্রামাঞ্চলের বিভিন্ন জেলার বাসিন্দারা নতুন এক পূর্ববঙ্গীয় মিশ্র নগর সংস্কৃতির উদ্ভব ঘটায়। মিশ্র এই পূর্ববঙ্গীয় নগর


সংস্কৃতির স্থিতিকাল মাত্র দুই দশক। পূর্ববঙ্গ স্বাধীন হয়ে বাংলাদেশ হয়ে গেলে আচমকাই আর এক প্রবল ঢেউ এসে আছড়ে পড়ে ঢাকাসহ প্রতিটি নগরে। অস্থিরতা সৃষ্টি হয় সাতচল্লিশ-উত্তর নগর-বিন্যাসে। লক্ষ্য মুক্তিযোদ্ধা, নতুন রাজনৈতিক নেতাকর্মীরা নগর, বিশেষ করে ঢাকা শহরে আছড়ে পড়ে। একাত্তরের সেই নব্য নগরবাসীর রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক আর সামাজিক উত্তরাধিকারী হচ্ছে আজকের চলমান ঢাকা নগরবাসী।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও