ভুল পরিকল্পনায় সড়ক নিরাপদ হবে না

সমকাল ড. শামসুল হক প্রকাশিত: ২২ অক্টোবর ২০২২, ০৯:১৩

পরিবহন বিশেষজ্ঞ ড. এম শামসুল হক বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) পুরকৌশল বিভাগের অধ্যাপক এবং বুয়েটের দুর্ঘটনা গবেষণা ইনস্টিটিউটের সাবেক পরিচালক। ঢাকার মেট্রোরেল, হাতিরঝিল প্রকল্পসহ উল্লেখযোগ্য বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পের পরামর্শক এবং কুড়িল ইন্টারচেঞ্জের পরিকল্পনাকারীও তিনি। বুয়েটের পুরকৌশল বিভাগ থেকে বিএসসি ও এমএসসি অর্জনকারী শামসুল হক পিএইচডি করেছেন ইংল্যান্ডের ইউনিভার্সিটি অব সাউদাম্পটন থেকে।


ড. এম শামসুল হক: ডিকেড অব অ্যাকশন ফর রোড সেফটি ঘোষণা অনুযায়ী জাতিসংঘ ওই রিস্ক ফ্যাক্টরগুলো বিশ্বের সব দেশের জন্য সমানভাবে প্রযোজ্য করে দিয়েছে। এটার অর্থ এই নয়, এর বাইরে আর কোনো উদ্যোগ থাকবে না; যেমন- আমাদের দেশে নিজস্ব কিছু বৈশিষ্ট্য আছে, যেগুলো বাইরের দেশের মতো নয়। সে হিসেবে তাদের সুনির্দিষ্ট করে দেওয়া ফ্যাক্টরগুলো যেমন অর্জন করতে হবে; পাশাপাশি আমাদের দেশের বাস্তবতায় আরও যেসব সমস্যা আছে, সেগুলো নিয়েও কাজ করতে হবে।


এখানে যাঁরা নীতিনির্ধারক পর্যায়ে আছেন, কেউই কারিগরি জ্ঞানসম্পন্ন বা আধুনিক গণপরিবহনের লোক নন। ফলে তাঁরা সাধারণ বুদ্ধিতে বা বিভিন্ন চাপে এলোমেলো সিদ্ধান্ত নেন। পেশাদার না হওয়ায় গণপরিবহনের মূল সমস্যা না বুঝে উপসর্গ দেখে পদক্ষেপ নেন। সমাধানের জন্য বিজ্ঞান কী বলছেন, সেদিকে মনোযোগ দেন না। লাফ দিয়ে চলে যান আইন প্রয়োগে। অথচ সিস্টেম ও প্ল্যান সঠিক হলেই তো হয়ে যায় অনেক কাজ। ভুল প্ল্যানে আইন প্রয়োগে টেকসই ফল আসবে না।


সড়ক নিরাপত্তায় যাঁরা দায়িত্বপ্রাপ্ত, তাঁদের কাজের জবাবদিহি নেই। দায়িত্বে অবহেলার জন্য কাউকে জবাবদিহির আওতায় আনা হয় না। তাই সরকার যথেষ্ট পরিমাণে বিনিয়োগ করে এবং জনবল দিয়েও কাজ আদায় করতে পারছে না। তার মানে, সুশাসনের অভাব। এ জন্য নির্দেশনাগুলো বাস্তবায়ন হচ্ছে না। চালকরা পাঁচ ঘণ্টার বেশি গাড়ি চালাবেন না- সরকারের সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে দেওয়া এ নির্দেশনাও বাস্তবায়ন হয়নি। এ রকম অনেক নির্দেশনা উপেক্ষিত।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও