বর্তমান তারুণ্য বিদ্রোহী নয় কেন?

সমকাল সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী প্রকাশিত: ১৫ অক্টোবর ২০২২, ০৯:৩৩

আমাদের তরুণরা অতীতে বিদ্রোহ করেছে। রাষ্ট্রভাষা আন্দোলন ও '৬৯-এর গণঅভ্যুত্থানের মতো বড় বড় ঘটনা তাদের কারণেই সম্ভব হয়েছে। একাত্তরে তারা যুদ্ধ করেছে। এরশাদের পতনের পেছনেও তাদের ছিল সবচেয়ে বড় ভূমিকা। কিন্তু তাদের পক্ষে নিজেদের সেই ভূমিকা অব্যাহত রাখা সম্ভব হয়নি। প্রধান কারণ- রাষ্ট্র সেটা চায়নি এবং রাষ্ট্র পুঁজিবাদবিরোধী না হয়ে পুঁজিবাদের অনুসারী ও সেবকে পরিণত হয়েছে। ব্রিটিশ শাসনের সময় এবং পাকিস্তান আমলে তো অবশ্যই তরুণের বিদ্রোহ ছিল নতুন রাষ্ট্র ও সমাজ গঠনের জন্য। তাদের স্বপ্ন ছিল গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ও সমাজ গঠন। গণতান্ত্রিক বলতে তারা ঔপনিবেশিক রাষ্ট্র বোঝেনি; বুঝেছে জনগণের রাষ্ট্র। যার মূলকথা হচ্ছে, রাষ্ট্র ও সম্পদের সামাজিক মালিকানা।


ব্রিটিশদের রাষ্ট্র ছিল ঔপনিবেশিক। পাকিস্তানি রাষ্ট্রের চরিত্রও দাঁড়িয়েছে অভ্যন্তরীণ ঔপনিবেশিক। ওই দুই দুষ্টরাষ্ট্র চলে গেছে; একটির পর অন্যটি। কিন্তু আমাদের নতুন রাষ্ট্র নামে ভিন্ন হলেও স্বভাব-চরিত্র আগের দুই রাষ্ট্রের মতোই; আমলাতান্ত্রিক ও পুঁজিবাদী। এই রাষ্ট্রের অভ্যন্তরেও ঔপনিবেশিকতা জায়গা করে নিয়েছে। এই ঔপনিবেশিকতা বিদেশিদের নয়; স্বদেশিদেরই। তাই দেখতে পাই, বিদেশিদের ঔপনিবেশিক শাসনে যেটা সত্য ছিল, এখানেও তা মিথ্যা হয়ে যায়নি। সম্পদ পাচার চলছে সমানে। অর্থমন্ত্রী জাতীয় সংসদে বলেছিলেন, কারা টাকা পাচার করে, তিনি জানেন না। জানা থাকলে যেন তাঁকে জানানো হয়। অথচ সবাই জানে, দেশের টাকা দেশে থাকছে না। বিস্ময়ে হতবাক হতে হয় বৈকি।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও