কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

রাজনীতিতে অতি আত্মবিশ্বাসের বিপদ

www.ajkerpatrika.com মমতাজউদ্দীন পাটোয়ারী প্রকাশিত: ১৪ অক্টোবর ২০২২, ১৬:৩৮

রাজনীতিতে আত্মবিশ্বাস এবং অতি আত্মবিশ্বাসী হওয়ার অভিজ্ঞতা খুব একটা হিসাব-নিকাশে মেলানো যায় না। এ ক্ষেত্রে বেশি সাবধানী হতে হবে আওয়ামী লীগ ও মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তিকে। কারণ তাদের রাজনীতি ও ভোট অনেকটাই বাস্তব রাজনীতির ওপর নির্ভরশীল।


ব্যক্তি, দল ও সরকারের মধ্যে আত্মবিশ্বাসের অভাব মোটেও কাম্য নয়। তবে সেই আত্মবিশ্বাস হতে হয় বাস্তব অবস্থার ওপর নির্ভর করে। বাস্তবতাবিবর্জিত আত্মবিশ্বাস কখনো সফল হয় না। সুতরাং আত্মবিশ্বাস নিয়ে ব্যক্তি, দল ও সরকার সব সময় যেন বাস্তবতাবোধে তাড়িত হয়—এটিই কাম্য। কিন্তু আত্মবিশ্বাসের নামে যখন এই তিন ক্ষেত্রে অতি আত্মবিশ্বাস ভর করে, তখন মুখে যতই ভালো কথা বলা হোক না কেন, বাস্তবে এর বিপদ এড়ানো অনেক ক্ষেত্রেই অসম্ভব ব্যাপার হওয়া ছাড়া অন্য কিছু আশা করা যায় না। এ বিষয়ে আলোকপাত করার চেষ্টা করছি এ কারণে যে, বাংলাদেশে প্রায়ই রাজনৈতিক দল ও সরকারের মধ্যে অতি আত্মবিশ্বাসী হওয়ার প্রবণতা লক্ষ করা যায়। কিন্তু অতি আত্মবিশ্বাসী যেকোনো কর্মকাণ্ড শেষ পর্যন্ত বিপদ ডেকে আনতে দেখা যায়। তখন অনেকেরই করার কিছু থাকে না। এই সত্য সংশ্লিষ্টরা জানেন না, তা বলছি না; তবে তাঁরা তা উপলব্ধি করতে প্রায়ই ব্যর্থতার পরিচয় দেন, তেমন অভিজ্ঞতা থেকেই কথাগুলো বলার চেষ্টা করা।


সম্প্রতি বিএনপি দেশে সরকারবিরোধী একটি আন্দোলন গড়ে তোলার চেষ্টা করছে। সেটা তারা করতেই পারে। সেই অধিকার তাদের আছেও। কিন্তু আন্দোলন গড়ে ওঠার আগেই বিএনপির নেতাদের মুখ থেকে এমন কিছু কথাবার্তা, হুমকি-ধমকি, ডেডলাইন দেওয়া এবং ক্ষমতার পরিবর্তন হওয়ার গ্যারান্টি দেওয়ার মতো উচ্চারণ শুনে মনে হচ্ছে দলটি এখনই আন্দোলনের ফলাফল সম্পর্কে অতি আত্মবিশ্বাসী হয়ে উঠেছে। আত্মবিশ্বাস পর্যন্ত থাকা মোটেও অন্যায় কিছু নয়, কিন্তু অতি আত্মবিশ্বাসের পরিণতি শেষ পর্যন্ত কী হয়, সেটি বলা মুশকিল। বিএনপি অতীতেও অতি আত্মবিশ্বাসী হয়েই ২০১৪ সালের নির্বাচন প্রত্যাখ্যান করে দেশে যে নৈরাজ্য তৈরি করেছিল, তারপর কী হয়েছিল সেটি বলার অপেক্ষা রাখে না। ২০১৫ সালে টানা ৯৩ দিন অবরোধ ও হরতাল ছেড়ে শেষ পর্যন্ত তাদের ঘরে চলে যেতে হয়। এবার বিএনপি সবে দু-একটি সভা-সমাবেশ শুরু করেছে, এরই মধ্যে নেতাদের কেউ কেউ ১০ ডিসেম্বর ডেডলাইন দিয়ে ফেলেছেন, ওই দিন থেকে বাংলাদেশ নাকি খালেদা জিয়ার নির্দেশে চলবে! তারেক রহমান বিদেশ থেকে দেশে এসে জাতির হাল ধরবেন! আওয়ামী লীগের নেতারা দেশ থেকে পালানোর পথ খুঁজে পাবেন না!—এমন সব দাবি করা হচ্ছে। বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম সে কারণে সরকারকে সেলফ এক্সিট নেওয়ার তাগাদা দিয়েছেন। অন্যান্য নেতাও প্রায় একই ভাষায় কথা বলতে শুরু করেছেন।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও