কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

আর্থিক বিপর্যয় ও ব্যাংকের ভূমিকা

বণিক বার্তা ড. মোহাম্মদ দুলাল মিয়া প্রকাশিত: ১২ অক্টোবর ২০২২, ০১:০২

শেষ হলো ২০২২ সালের নোবেল পুরস্কারের ঘোষণা। সুইডিশ রয়্যাল একাডেমি ১০ অক্টোবর, ২০২২ অর্থনীতিতে নোবেল স্মারক পুরস্কার (আলফ্রেড নোবেলের স্মৃতি রক্ষার্থে অর্থনীতিতে ভেরিজ রিক্সব্যাংক পুরস্কার দেয়া হয়) ঘোষণার মাধ্যমে শেষ করল এবারের আসর। অর্থনীতিতে এবারের নোবেল স্মারক পুরস্কার উঠেছে যৌথভাবে ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান বেন এস বার্নানকে, শিকাগো বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ডগলাস ডব্লিউ ডায়মন্ড এবং ওয়াশিংটন (সেন্ট লুইস) বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ফিলিপ এইচ ডিবভিগের হাতে। নোবেল কমিটি তাদের বক্তব্যে বলেছে যে আর্থিক বিপর্যয়ে ব্যাংকের ভূমিকা নিয়ে কাজ তাদেরকে এ মর্যাদাপূর্ণ পুরস্কারে ভূষিত করেছে।


বেন এস বার্নানকে ওয়াশিংটন ডিসির ব্রুকিংস ইনস্টিটিউশনে ইকোনমিক স্টাডিজের ডিস্টিংগুইশড সিনিয়র ফেলো। বেন এস বার্নানকে ২০০৬-২০১৪ সাল পর্যন্ত ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংকের চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করেছেন। এর আগে তিনি প্রিন্সটন বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তবে ফেডারেল রিজার্ভের চেয়ারম্যান হিসেবে তার বর্ণিল ক্যারিয়ার ছিল। তার মধ্যে, ২০০৯ সালে সাব-প্রাইম সংকটে যখন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আর্থিক খাত চরম সংকটে, মার্কিন মুদ্রানীতি প্রণয়নের ভার তখন তার হাতে। তিনি দেশের একজন প্রধান নীতিনির্ধারক হয়ে লেহমান ব্রাদারস এবং ওয়াশিংটন মিউচুয়ালের মতো শতবর্ষী আর্থিক প্রতিষ্ঠানকে দেউলিয়া হতে দেখেছেন। অনেক বড় বড় আর্থিক প্রতিষ্ঠানকে একীভূত হতে সায় দিয়েছেন সংকট মোকাবেলায়। সরকারি কোষাগারের টাকায় দেউলিয়াত্বের হাত থেকে উদ্ধার করেছেন এআইজির (আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল গ্রুপ) মতো বিশ্বের সবচেয়ে বড় বীমা প্রতিষ্ঠানকে। এআইজির সঙ্গে অন্যান্য আর্থিক প্রতিষ্ঠানের লেনদেনের জাল এমনভাবে শেকড় গড়েছিল যেন এআইজির দেউলিয়াত্ব মানে যুক্তরাষ্ট্রের আর্থিক কাঠামোর অবলোপন। ধারণা করা হয় এসব কৌশলগত নীতির কারণে ২০০৯ সালের আর্থিক সংকটের নেতিবাচক প্রভাব কিছুটা হলেও এড়ানো সম্ভব হয়েছে। ফেডারেল রিজার্ভের প্রধান হিসেবে এসবের আলোচনা এবং সমালোচনার মধ্যমণি ছিলেন বেন এস বার্নানকে।


বেন এস বার্নানকের কাজের প্রধান বিষয় ছিল আর্থিক বিপর্যয়ের অর্থনৈতিক এবং রাজনৈতিক কারণগুলো বিশ্লেষণ করা। বিশেষ করে ১৯২৯ সালের আর্থিক মন্দাকে তিনি বিশ্লেষণ করেছেন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মুদ্রানীতি এবং মুদ্রানীতির বাইরের কিছু নিয়ামকের আলোকে। তিনি তার পূর্বসূরি অর্থনীতিবিদ মিল্টন ফ্রিডম্যানের দেখানো পথেই হেঁটেছেন। ফ্রিডম্যান ১৯২৯ সালের মহামন্দার জন্য কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মুদ্রানীতিকে দায়ী করেছেন। তার মতে, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সংকুচিত মুদ্রানীতি এবং সুদের হারের আশু বৃদ্ধি বাজারে তারল্যের প্রবাহকে ব্যাহত করেছে, যা আর্থিক মন্দাকে উসকে দিয়েছিল। এ ধারণাকে মাথায় রেখে ২০০৯ সালের আর্থিক মন্দার প্রভাব ঠেকানোর জন্য বেন এস বার্নানকে সুদের হারকে শূন্যের কোটায় নামিয়ে এনে সম্প্রসারণমূলক মুদ্রানীতি গ্রহণ করেছিলেন, যা অনেক দিন পর্যন্ত স্থায়ী ছিল। আর ২০০৯ সালের সংকটের দায় দিয়েছিলেন তার পূর্বসূরিদের ভুল মুদ্রানীতিকে। ২০০০-০৮ সাল পর্যন্ত এ আট বছরে ফেডারেল ফান্ড রেট মোট ৪২ বার পরিবর্তিত হয়েছে।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও