‘ব্যক্তি স্বাধীনতা’ ও ‘সাংসারিক চাপে’ই কি বিয়েতে অনাগ্রহী তরুণ সমাজ

ডেইলি স্টার শাহানা হুদা রঞ্জনা প্রকাশিত: ০৫ অক্টোবর ২০২২, ১৮:৩১

ব্যাংককে একটি ট্রেনিং সেশনে আমাদের কোঅর্ডিনেটরের বয়স ছিল প্রায় ৪০ ছুঁই ছুঁই। প্রথম দিনের আইসব্রেকিং ক্লাসে পরিচয় পর্বে কিম জানালেন, তিনি অবিবাহিত, কারণ তার বিয়েই হচ্ছে না।


থাই মেয়েরা বিয়ের প্রতি আগ্রহ হারাচ্ছে। সেই ১২ বছর আগে থেকেই থাই মেয়েরা বিয়ে পরবর্তী ঝামেলাপূর্ণ জীবনের চেয়ে একা থাকা উপভোগ করতে শুরু করেছিল বলেই হয়তো কিম বিয়ে করতে চাইলেও পাত্রী পাচ্ছিলেন না।


এতগুলো বছর পরে খবর দেখলাম, জাপানে রেকর্ডসংখ্যক তরুণ-তরুণী জানিয়েছেন, তারা বিয়ে করবেন না। তাদের সবার বয়স ১৮ থেকে ৩৪ বছরের মধ্যে। ২০২২ সালের ওই সমীক্ষায় বিয়েতে অনীহা প্রকাশকারীর সংখ্যা সর্বোচ্চ। মোট জনসংখ্যার একটি বড় অংশ বিয়ে করতে অনীহা প্রকাশ করেছেন।


কেন বিয়েতে অনীহা তাদের? উত্তরে বলেছেন, তারা নিজেদের 'সিঙ্গেল' জীবন উপভোগ করতে চান, 'ব্যক্তি স্বাধীনতা'য় ছাড় দিতে চান না এবং পেশাগত জীবনে উন্নতি করতে চান। জাপানের ওয়ার্কোহলিক তরুণ-তরুণীরা বিয়ে করে সংসার করার চেয়েও নিজেদের পেশাকে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছেন।


শুধু কি জাপানেই বিয়ের প্রতি অনীহা? বিশ্বের অনেক দেশেই তরুণ-তরুণীরা বিয়েকেন্দ্রিক সাংসারিক চাপ ও দায়িত্ব সামলাতে অনাগ্রহী হয়ে উঠছেন। পাশাপাশি মানিয়ে চলা ও পরস্পরকে বোঝার ক্ষেত্রে ধৈর্য্যও কমে গেছে। প্রশ্ন উঠেছে, কেন ছেলে-মেয়েদের মধ্যে বিয়ের প্রতি আগ্রহ কমছে এবং বিয়ের কয়েক বছরের মধ্যেই কেন তালাক হয়ে যাচ্ছে?


বাংলাদেশের মতো সমাজে বিয়ে মানে শুধু স্বামী-স্ত্রী নয়, বিয়ে মানে একটি পরিবার, একটি বন্ধন। সেই পরিবারে আরও অনেকে থাকতে পারেন। সেই অনেকের সঙ্গে মানিয়ে চলতে হয়, নানাজনের নানা মত বুঝে চলতে হয়। অথচ বিয়ের পর প্রায় সব ছেলে-মেয়েই চায় নিজের মতো থাকতে। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই আমাদের মতো সমাজ ব্যবস্থায় তা হয়ে ওঠে না। তখনই তৈরি হতে থাকে ভুল বোঝাবুঝি এবং ক্রমশ দূরত্ব বাড়তে থাকে।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও