কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

মূল্যস্ফীতির সংকটে বিশ্ব অর্থনীতি : আমাদের করণীয়

যুগান্তর এম এ খালেক প্রকাশিত: ০৪ অক্টোবর ২০২২, ১২:২১

সাম্প্রতিক সময়ে বিশ্ব অর্থনীতি নানা সমস্যায় জর্জরিত হয়ে পড়েছে; বিশেষ করে অস্বাভাবিক উচ্চমাত্রার মূল্যস্ফীতি বিশ্ব অর্থনীতির গতিপ্রবাহ স্তিমিত করে দিচ্ছে। এমন একটি দেশও পাওয়া যাবে না, যারা তীব্র মূল্যস্ফীতির সমস্যা মোকাবিলা করছে না। উন্নত-অনুন্নত নির্বিশেষে সব দেশের অর্থনীতির জন্যই উচ্চ মূল্যস্ফীতি মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের জন্য বিভিন্ন দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংক সাধারণ কৌশল প্রয়োগ করছে। কিন্তু তাতে কোনো ফল মিলছে না। মূল্যস্ফীতি ক্রমাগত বেড়েই চলেছে। আগামী বছর মূল্যস্ফীতি আরও বৃদ্ধি পাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এ অবস্থায় বিশ্বব্যাংক ও অন্যান্য আর্থিক প্রতিষ্ঠান ভয়াবহ অর্থনৈতিক মন্দার আভাস দিচ্ছে। মন্দা যে আসন্ন তা কেউ অস্বীকার করছে না। এখন শুধু অপেক্ষার পালা।


বর্তমানে বিশ্বব্যাপী যে অস্বাভাবিক উচ্চ মূল্যস্ফীতি সৃষ্টি হয়েছে, এর পেছনে কিছু কারণ কাজ করছে। সাধারণভাবে নানা কারণেই একটি দেশের অর্থনীতিতে মূল্যস্ফীতি দেখা দিতে পারে। তবে মূল্যস্ফীতি সাধারণত কিছু দেশ ও অঞ্চলের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকে। কিন্তু এবারের মূল্যস্ফীতি কোনো নির্দিষ্ট দেশ বা অঞ্চলে সীমিত নেই। সারা বিশ্বই এর প্রভাবে প্রভাবিত হচ্ছে। অনেক কারণেই মূল্যস্ফীতি ঘটতে পারে। তবে সাধারণত কয়েকটি বিশেষ কারণ এর জন্য দায়ী হয়ে থাকে। বস্তুত মূল্যস্ফীতি বলতে এমন একটি অবস্থাকে বোঝায়, যেখানে একটি দেশ, অঞ্চল বা পুরো বিশ্বের অন্যান্য অবস্থা স্বাভাবিক থাকাকালে পণ্য ও সেবার মূল্য অত্যন্ত বৃদ্ধি পায়। মানুষের ক্রয়ক্ষমতা অপরিবর্তিত থেকে যদি কোনো অর্থনীতিতে পণ্যমূল্য অস্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধি পায়, তাহলে সেদেশের সাধারণ মানুষের দুর্ভোগের কোনো সীমা থাকে না। যারা পণ্যের উৎপাদক বা জোগানদাতা, তারা চাইলেই যে কোনো পণ্যের মূল্য বৃদ্ধি করতে পারে। কিন্তু ভোক্তারা চাইলেই বেশি দামে পণ্য ক্রয় করতে পারে না। কারণ ভোক্তার আয় বা রোজগার ইচ্ছা করলেই বাড়ানো যায় না। বরং উচ্চ মূল্যস্ফীতির সময় প্রায়ই ভোক্তার ক্রয়ক্ষমতা হ্রাস পায়। কারণ তার মজুরি বা বেতন-ভাতা অধিকাংশ সময়ই বৃদ্ধি না পেয়ে বরং কমে যায়। আর কোনো ক্ষেত্রে আয়-রোজগার বৃদ্ধি পেলেও মূল্যস্ফীতির হারের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ে না। ফলে ভোক্তার দুর্ভোগ বৃদ্ধি পায়।


মূল্যস্ফীতির তিনটি কারণকে প্রধান প্রভাবক হিসাবে চিহ্নিত করা যেতে পারে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য পণ্য ও সেবার উৎপাদন কোনো কারণে অস্বাভাবিকভাবে কমে যাওয়া। যেমন, কোনো এলাকায় ভয়াবহ বন্যায় ফসলের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হলে পরবর্তী বছর সেই এলাকায় উচ্চ মূল্যস্ফীতি দেখা দিতে পারে। অবশ্য দেশটি যদি বাইরে থেকে পণ্য আমদানি করে কাঙ্ক্ষিত চাহিদা পূরণের ব্যবস্থা করে, তাহলে ভিন্ন কথা। এ ধরনের মূল্যস্ফীতিকে উৎপাদন হ্রাসজনিত মূল্যস্ফীতি বলা যেতে পারে। আবার নির্দিষ্ট বছর একটি দেশে বা অঞ্চলে পণ্য উৎপাদন স্বাভাবিক থাকলেও কোনো কারণে যদি উৎপাদিত পণ্য বাজারজাতকরণে সংকট দেখা দেয়, তাহলে পণ্যমূল্য অস্বাভাবিক বৃদ্ধি পেতে পারে। এ ধরনের মূল্যস্ফীতিকে পরিবহণ বা সাপ্লাই সাইড ইফেক্টজনিত মূল্যস্ফীতি বলা যেতে পারে। আবার কোনো একটি সময় নির্দিষ্ট কোনো পণ্যের জোগান না বেড়ে চাহিদা অস্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধি পেলে সেই পণ্যের মূল্য বৃদ্ধি পেতে পারে। এটাকে চাহিদা বৃদ্ধিজনিত মূল্যস্ফীতি বলা যেতে পারে। আরও নানা কারণে মূল্যস্ফীতি ঘটতে পারে।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও