দেশ কি রাজনৈতিক সংঘাতের দিকে এগোচ্ছে?

যুগান্তর ড. মুহাম্মদ ইয়াহ্ইয়া আখতার প্রকাশিত: ০২ অক্টোবর ২০২২, ১৩:৩৫

দেশের রাজনীতিতে ক্রমান্বয়ে উত্তাপ বাড়ছে। এ বর্ধিত উত্তাপের সৃষ্টি আসন্ন দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন ঘিরে। আগামী বছর ডিসেম্বর বা পরের বছর জানুয়ারিতে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের বাধ্যবাধকতা রয়েছে। রাজনৈতিক দল, নাগরিক ও সুশীল সমাজ এবং বন্ধুপ্রতিম বড় পরাশক্তিধর অনেক দেশসহ বিশ্বের প্রায় সব গুরুত্বপূর্ণ দেশ এ নির্বাচনের দিকে তাকিয়ে আছে। এ নির্বাচনের স্বচ্ছতা ও গ্রহণযোগ্যতার ওপর নির্ভর করছে আগামী বাংলাদেশের সামাজিক শান্তি ও রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা। কয়েকটি সংসদ নির্বাচন গ্রহণযোগ্য না হওয়ায় দেশ অনেকটা পিছিয়ে পড়েছে। বহির্বিশ্বে নিষ্প্রভ হয়েছে বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক ভাবমূর্তি। অথচ এ গণতন্ত্রের জন্যই আমরা লাখো প্রাণের বিনিময়ে যুদ্ধ করে দেশ স্বাধীন করেছিলাম। ঐক্যবদ্ধ পাকিস্তানি ভোটারদের ১৯৭০ সালের নির্বাচনে প্রদত্ত রায়কে অমর্যাদা করায় তার বিরুদ্ধে আমরা সশস্ত্র প্রতিবাদ করেছিলাম।


গত ৫০ বছর আমরা স্বাধীন দেশে বসবাস করছি। পৃথক ভূখণ্ড ও পতাকা পেয়েছি। কিন্তু যে গণতন্ত্রের জন্য আমরা প্রাণ দিয়েছিলাম, সে গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিতে পারিনি। স্বাধীন দেশের রাজনীতি সুস্থ ধারায় গড়ে ওঠেনি। রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে দেশপ্রেমের চেয়ে দলপ্রেম বেড়েছে। দলগুলো রাষ্ট্রক্ষমতায় এসে ক্ষমতা ছাড়তে চায়নি। এজন্য দেশে ক্ষমতা রদবদলের গণতান্ত্রিক ধারা ব্যাহত হয়েছে। রাজনৈতিক নেতৃত্ব রাজনৈতিক দলসহ গণতন্ত্রকে কার্যকর করতে পারে-এমন প্রতিষ্ঠানগুলোকে শক্তিশালী করার কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণে ব্যর্থ হয়েছে। ক্ষমতায় থাকার সংকীর্ণ স্বার্থে সরকার নির্বাচন কমিশনকে স্বাধীনভাবে কাজ করতে দেয়নি। পরিবর্তে, অঘোষিত নির্দেশনা দিয়ে ইসিকে নিজেদের অনুকূলে কাজ করিয়েছে। এতে নির্বাচনিব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে। দলগুলোর মধ্যে নির্বাচনি পরাজয় মানার সংস্কৃতি গড়ে ওঠেনি। রাজনৈতিক নেতৃত্বের পরিপক্বতার ঘাটতি থাকায় রাজনীতিতে একাধিকবার সেনাবাহিনীর আগমন ঘটেছে। সামরিক শাসকরা দেশ ও গণতন্ত্র উদ্ধারের নামে ক্ষমতায় এসে পরে নিজেরা দল গড়ে ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হয়েছেন। সামরিক শাসনের অবসানের পর সামরিক নেতাদের গঠন করা দলগুলো এ দেশে জনগণের কাছে গ্রহণযোগ্যতা পেয়েছে। তবে অপার সম্ভাবনাময় হওয়া সত্ত্বেও রাজনৈতিক দুর্বৃত্তায়নের কারণে বাংলাদেশ বিশ্বের উন্নত দেশগুলোর সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে পারছে না। ব্যাপক দুর্নীতির মাধ্যমে দেশে ধনী-দরিদ্রের বৈষম্য বেড়েছে। স্বাধীনতার ঘোষণাপত্রের বাস্তবায়ন করা যায়নি। দুর্বৃত্তায়িত রাজনীতির প্রভাবে দেশের শিক্ষা, স্বাস্থ্য, প্রশাসন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীসহ সবক্ষেত্রে বিশৃঙ্খলা ছড়িয়ে পড়েছে। আর্থিক ও প্রশাসনিক খাতসহ এমন কোনো খাত নেই, যেখানে সুশাসন দৃশ্যমান। এ কারণে সাধারণ মানুষ কাক্সিক্ষত নাগরিক সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও