You have reached your daily news limit

Please log in to continue


শান্তি ও সম্প্রীতির শারদ উৎসব

একসময় যে প্রকৃতির সাথে শারদীয় উৎসব আসত তার কিছুটা এখন বদলে গেছে। জনসংখ্যার ভীড়ে নীলাকাশ এখন ধূসর। সবুজ উধাও। ফুলেরা ফোটে আতঙ্কে। পাকিস্তান আমলেও যা দেখিনি তাই দেখতে হয়েছে, দেখতে হচ্ছে। ভাঙ্গা মূর্তি, মাঝে মাঝে ভেসে আসা দুঃসংবাদ আর গেলবারের পূজার সময় যা ঘটেছিল এসব মিলিয়ে বড় ভয় আর নিরাপত্তাহীনতায় আসে শারদীয়া। অথচ এর মূল বার্তাই হচ্ছে আনন্দ আর মিলন। ওই বার্তা ঢাকা পড়ে যাবে এমন আতঙ্কে? নাকি দীর্ঘ ঐতিহ্য আর সংস্কৃতির আলোয় সবকিছু চলবে তার আপন গতিতে? এ প্রশ্নই এখন সবার মনে।

শারদীয়ার আবহগুলো দেখলে বা এর অনুষঙ্গের দিকে তাকালেই বুঝবেন এর পরতে পরতে আবহমান বাংলা এবং বাঙালির রূপ। ভারতের পশ্চিমবঙ্গ ছাড়া অন্য কোনো রাজ্যে দুর্গা এভাবে বন্দিত হন না। এক এক জায়গায় একেকরকম ভাবে অর্চনা করা হলে ও বাংলায় দুর্গার ধারণাই ভিন্ন। এখানে তিনি অসুররূপী অশুভ শক্তির বিরুদ্ধে নারী শক্তির প্রতীক। তার ভেতর দিয়ে প্রকাশিত হয় নারীর জাগরণ। তিনি কালক্রমে হয়ে উঠেছেন বিজয়া। যার সাথে আমাদের আনন্দ আর জয়ের যোগ অভিন্ন। ওই দুর্গা দশভুজা। যেমন দশভুজা ঘরে ঘরে বাংলার মায়েরা। তারা সকাল থেকে রাত পর্যন্ত অদৃশ্য দশহাতে ঘর সংসার সামলান। সামলান সব সমস্যা। যারা দেবী দুর্গার দশভুজা বিষয়টি নিয়ে প্রশ্ন তোলেন তারা এভাবে ভেবে দেখলেই উত্তর পাবেন।

আরেকটি বিষয় হলো এর সাথে সংস্কৃতির নিবিড় যোগাযোগ। সরস্বতী বিদ্যাদেবী। তিনি সংস্কৃতির মূর্ত প্রতীক– তার বাহন হাঁস, হাতে বীণা। অথচ দুর্গাপূজাতেই আমাদের শিল্প-সাহিত্য জেগে ওঠে নতুন আনন্দে, নতুন শক্তিতে। দৈনিক থেকে সাময়িকী সাহিত্য পত্রিকা সবকিছু রঙিন হয়ে ওঠে। সেই কবে থেকে শারদীয় সংখ্যার রমরমা। তখনকার দেশ, আনন্দবাজারের কথা ভুলবে না বাংলা সাহিত্য। এই শারদীয় সংখ্যার হাত ধরে উঠে এসেছেন, মন জয় করেছেন, বিখ্যাত হয়ে কিংবদন্তীতে পরিণত হয়েছেন অজস্র লেখক, কবি। গানের জগত তখন পুরোটাই ছিল পূজানির্ভর। একেকটা পূজায় একেক ধরনের গান আর গানের ডালি নিয়ে হাজির হতেন হেমন্ত, মান্না দে, শ্যামল মিত্র, মানবেন্দ্র, সন্ধ্যা, আরতি আর উৎপলার মতো শিল্পীরা। ইউটিউব, স্মার্টফোন, কম্পিউটারহীন জগতে এসব গান ভেসে আসত আকাশপথে। রেডিও ক্যাসেটের ওই জমানায় গানগুলো মানুষকে যে আনন্দ, যে বৈভব দিয়েছিল আজও তা প্রবহমান। সেই অম্লান গানের জগত নাই আর। টেকনোলজি, কারিগরি উৎকর্ষ বা যন্ত্রের এই যুগে গান আর গান নাই। ওই আলোচনা এখানে নয়। বলছিলাম সংস্কৃতির সাথে শারদীয়ার সম্পর্কের কথা।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন