হৃদ্রোগের চিকিৎসা শুরুর আগেই পকেটশূন্য
১৮ সেপ্টেম্বর, গভীর রাত। ঢাকার সাভারের বাসিন্দা শরিফা বেগমের শ্বাসপ্রশ্বাস বন্ধ হওয়ার উপক্রম হলে দ্রুত স্থানীয় এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। ৩২ বছর বয়সী এই নারী উচ্চ রক্তচাপ ও ডায়াবেটিসে ভুগছেন। অবস্থার উন্নতি না হওয়ায় নেওয়া হয় ধানমন্ডির পপুলার হাসপাতালে। কিন্তু খরচ বেশি হওয়ায় নেওয়া হয় জাতীয় হৃদ্রোগ হাসপাতালে।
শরিফার স্বামী আব্দুর রহমান বেসরকারি একটি কোম্পানিতে সামান্য বেতনে চাকরি করেন। দৈনন্দিন খরচের পাশাপাশি সন্তানদের পড়াশোনা আছে। বললেন, স্ত্রী হঠাৎ অসুস্থ হওয়ায় এখন পথে বসেছেন। ইতিমধ্যে লাখ টাকা চলে গেছে। এনজিওগ্রাম করে চারটি ব্লক ধরা পড়েছে। এখন নাকি রিং পরাতে হবে। কীভাবে কী করবেন বুঝে উঠতে পারছেন না।
শুধু শরিফার পরিবারের নয়, দেশে হৃদ্রোগে আক্রান্ত অধিকাংশ রোগীর মূল চিকিৎসা শুরুর আগেই রোগ নির্ণয় থেকে শুরু করে অন্যান্য খরচ মেটাতেই পকেট ফাঁকা হয়ে যাচ্ছে। সরকারি ব্যবস্থায় চিকিৎসার খরচ তুলনামূলক কম। তবে প্রয়োজনের তুলনায় সরকারি চিকিৎসার সুবিধা অপ্রতুল। ফলে বেসরকারি হাসপাতালে ছুটতে হয় রোগীদের।