
ব্যয় বাড়ে, ট্রেন কমে, ভারী হয় লোকসানের বোঝা
কাগজে-কলমে রেল দেখাচ্ছে সারা দেশে ৩৬৮টি যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল করছে। কিন্তু বাস্তবে চলছে ২৭৬টি। অর্থাৎ ৯২টি ট্রেনের চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। বন্ধ হওয়া ট্রেনগুলোর প্রায় সব কটিই মেইল, লোকাল ও কমিউটার। যাত্রাপথে এসব ট্রেন প্রায় সব স্টেশনে থামে।
নিম্ন আয়ের মানুষ, অফিসগামী ব্যক্তি ও গ্রাম থেকে শহরের বাজারে টুকটাক পণ্য পরিবহনের প্রধান ভরসা হিসেবে পরিচিত এসব ট্রেন। বন্ধ ট্রেনের কোনো কোনোটি কয়েক বছর ধরে চলছে না। কিছু ট্রেন বন্ধ আছে করোনা মহামারির পর। কিন্তু রেল কর্তৃপক্ষ এসব বন্ধ ট্রেনের বিষয়টি পুরোপুরি
চেপে যাচ্ছে।
রেলওয়ের দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা বলছেন, ইঞ্জিন-কোচের স্বল্পতা এবং প্রয়োজনীয় লোকবলের অভাবে ট্রেনগুলো বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। আর যেসব ট্রেন চলাচল করছে, সেগুলোও সক্ষমতার চেয়ে কম কোচ নিয়ে চলছে। এতে যাত্রীও কম যাতায়াত করতে পারছে। ইঞ্জিন, রেল অবকাঠামো ও লোকবল ব্যবহার করে কম কোচ নিয়ে চলাচলের কারণে তুলনামূলকভাবে পরিচালন ব্যয়ও বেড়ে যাচ্ছে। বর্তমানে ট্রেন পরিচালনায় প্রত্যেক যাত্রীর পেছনে কিলোমিটারপ্রতি প্রায় আড়াই টাকা খরচ হয়। আয় এর অর্ধেকের মতো।