কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

মুদ্রানীতি, মূল্যস্ফীতি ও মুদ্রাবাজারের অস্থিরতা

কালের কণ্ঠ ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ প্রকাশিত: ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২২, ১২:১৪

কভিড মহামারি ও ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে বিশ্ব অর্থনীতিকে যে ধকল সইতে হচ্ছে, তা এড়ানোর সুযোগ বাংলাদেশের নেই। শুধু বাংলাদেশ নয়, বিশ্বের সব দেশকেই কমবেশি এই চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে হচ্ছে। আমাদের চিন্তাগ্রস্ত করে, যখন এর সঙ্গে আমাদের নিজস্ব কিছু চ্যালেঞ্জ যুক্ত হয়। বিদ্যমান পরিস্থিতিতে দেশের সার্বিক আর্থিক খাত ও বৈদেশিক মুদ্রাবাজারে অস্থিরতার সৃষ্টি হয়েছে। তা সামাল দিতে সরকার সচেষ্ট, তবে কিছু বিষয়ে বিশেষ নজর দেওয়ারও প্রয়োজন রয়েছে। বলা প্রয়োজন, মূলত আর্থিক খাত ও মুদ্রাবাজারে অস্থিরতা দূর করার দায়িত্ব বাংলাদেশ ব্যাংকের। একই সঙ্গে এটিও মনে রাখতে হবে, এখন যে চ্যালেঞ্জগুলো রয়েছে, তা মোকাবেলা করা কেন্দ্রীয় ব্যাংকটির একার পক্ষে সম্ভব নয়।


আমাদের চ্যালেঞ্জগুলোর মধ্যে প্রথমেই রয়েছে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ। তারপর বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ঠিক রাখা এবং বৈদেশিক মুদ্রার বাজারের অস্থিরতা দূর করা। এর সঙ্গে রয়েছে রপ্তানি ও রেমিট্যান্স বাড়ানোর চ্যালেঞ্জ। এই বিষয়গুলো শুধু বাংলাদেশ ব্যাংকের নয়, সরকারের অন্য অনেক প্রতিষ্ঠান নীতি ও পদক্ষেপের সঙ্গে জড়িত। তাই বাংলাদেশ ব্যাংকের মুদ্রানীতি এবং এর সার্বিক নীতিমালা ও প্রুডেনশিয়াল নর্মস দিয়ে সমস্যাগুলোর সমাধান করা সম্ভব নয়। এ জন্য দরকার হলো একটি সমন্বিত পদক্ষেপ এবং সেটি দ্রুত গ্রহণ করতে হবে। বাংলাদেশ ব্যাংকের পাশাপাশি অর্থ মন্ত্রণালয় ও সরকারের অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের দায়িত্ব রয়েছে। সবচেয়ে বড় কথা হলো, যেকোনো নীতি বাস্তবায়নের ক্ষেত্রেই, বিশেষ করে মনিটারি ট্রান্সমিশন মেকানিজমটি (পণ্যমূল্য ও অথনৈতিক কর্মকাণ্ডে মুদ্রানীতির প্রভাব প্রক্রিয়া) সংশ্লিষ্টদের ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের কর্মদক্ষতার ওপর নির্ভর করে। এ ক্ষেত্রেও সামষ্টিক অর্থনীতির স্তর থেকে শুরু করে মধ্য স্তরে যারা আছে, যেমন—বাজার, ব্যাংক, নিয়ন্ত্রণকারী সংস্থা, উন্নয়ন সহযোগী সংস্থা হিসেবে বিডা ও রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো এবং সব শেষে স্থানীয় প্রশাসনের ভূমিকা রয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানের মধ্যে সমন্বয় তৈরি না হলে পরিস্থিতি সামাল দেওয়া কঠিন।


এ অবস্থায় আমাদের বিদ্যমান মুদ্রানীতি এবং এটার প্রাসঙ্গিকতা বিবেচনা করা দরকার। প্রথমেই আমি বলব, এখানে মুদ্রানীতির সঙ্গে রাজস্বনীতির একটি গভীর সংযোগ তৈরি করতে হবে। রাজস্বনীতিতে বাজেট ঘাটতি হয়, কোনো ক্ষেত্রে বরাদ্দ কমে যায়, কোথাও প্রণোদনা দিতে হয়। ফলে এটাকে মুদ্রানীতির সঙ্গে সংগতিপূর্ণ হতে হবে। আবার মুদ্রানীতি যদি মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ করতে চায়, তাহলে এর মাধ্যমে বাজারে অর্থের সরবরাহ কমাতে সার্বিক চাহিদা নিয়ন্ত্রণের ব্যবস্থা করতে হয়। কিন্তু এর বিপরীতে যদি বড় বড় প্রকল্প দাঁড় করানো হয়, সরকারিভাবে বড় আকারের আমদানি অব্যাহত থাকে এবং সরকারি খাতে বড় আকারে বৈদেশিক মুদ্রার লেনদেন হয়, তাহলে তা মুদ্রানীতির জন্য বিপরীতমুখী পদক্ষেপ হিসেবে গণ্য হয়।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও