মুদ্রা রাক্ষস ও দ্রব্যমূল্যে নাগরিক অংশগ্রহণ

দেশ রূপান্তর মামুনুর রশীদ প্রকাশিত: ২৫ আগস্ট ২০২২, ০৯:০০

অবশেষে ডিমের দাম কমার মধ্য দিয়ে ভোক্তাদের একটা অতিক্ষুদ্র বিজয় সম্পন্ন হলো। বাংলাদেশের কোনো কিছুর দাম বাড়লে দেখা গেছে সেটার দাম আর কমে না। এটাই ব্যবসায়ীদের কৌশল। একবার ভোক্তাদের মধ্যে সহ্যশক্তিটা বাড়াতে পারলে আর কোনো চিন্তা নেই। এবারে ব্যবসায়ীদের গোলটেবিল থেকে বোঝা গেল ওই মুনাফা নিয়েই এদের মধ্যে বড় বড় ঝগড়া-বিবাদ আছে। খামারিরা দোষারোপ করে পাইকারি ব্যবসায়ীদের, আবার যারা পাইকারি ব্যবসায়ী তারা দোষারোপ করে অন্যকে। মাঝখান থেকে যারা প্রকৃত উৎপাদক তাদের কোনো লাভ হয় না। কিন্তু এর মধ্যেই পাঁচশ কোটি টাকার একটা বাণিজ্য হয়ে যায়।


বাংলাদেশে অবশ্য এক কোটি, দুই কোটি, দশ কোটি এই অঙ্কগুলো হাস্যকর, শত-কোটিও হাস্যকর, হাজার কোটি না হলে তা কোনো ধর্তব্যের মধ্যে আসে না। অর্থ একটা বড় ধরনের অনর্থে পরিণত হয়েছে। কিন্তু সমস্যা হচ্ছে আমাদের দেশের অর্থনীতিবিদরা এত বড় বড় কথা বলেন, কিন্তু মানুষকে টাকার মূল্য শেখাননি এবং মাথাপিছু আয় যে কত বড় প্রতারণা এটাও শেখাননি। একটি ডিমের মূল্য যদি পঞ্চাশ টাকাও হয় তাতে যে লোকটা হাজার হাজার কোটি টাকা লুটপাট করে তার জন্য ক্রয় করা কোনো ব্যাপার না। কিন্তু যে লোকটা দৈনিক ৩০০ টাকা আয় করে তার জন্য খুব কঠিন অথবা যে চা শ্রমিক দিনমজুরি বাবদ দৈনিক ১২০ টাকা পায় তার কাছে ডিমের মূল্যটা কত ভয়াবহ!


সেদিন তপ্ত দুপুরে একটি মেয়ে একজন রিকশাওয়ালাকে ঠিক করেছে কোথাও যাবে বলে। রিকশাওয়ালা মুখে সিগারেট নিয়েই বলল চলেন আপা। মেয়েটি বলছে আপনি আগে সিগারেটটা শেষ করেন। আমি জিজ্ঞাসা করলাম তুমি ওকে সিগারেট শেষ করতে বলেছো কেন? মেয়েটি বলল ওর সিগারেটের মূল্য পাঁচ টাকা, আমি ভাড়া দেব বিশ টাকা। আমি বললে হয়তো সিগারেট ফেলে দিত। কিন্তু পাঁচটি টাকার মূল্য তার কাছে অনেক।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও