কর্মঘণ্টা পরিবর্তনের সঙ্গে আরও যা করতে হবে
বিদ্যুৎ সাশ্রয়ের লক্ষ্যে এবার সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের কর্মঘণ্টা কমিয়ে নতুন দাপ্তরিক সময়সূচি নির্ধারণ করা হয়েছে। আজ বুধবার থেকে এ খাতের প্রতিষ্ঠানগুলোর কর্মঘণ্টা সকাল ৮টায় শুরু হয়ে বিকেল ৩টায় শেষ হবে। অবশ্য জরুরি পরিষেবার অফিসগুলো এ আদেশের বাইরে থাকবে।
এটা ঠিক, বর্তমান জ্বালানি সংকটকালে সাশ্রয়ী হওয়ার বিকল্প নেই। আমাদের জ্বালানি আমদানি করে চলতে হয়। ফলে সাশ্রয়ী হতেই হবে। নতুন সিদ্ধান্তের মাধ্যমে যদিও মোট কর্মসময় এক ঘণ্টা কমে আসবে; দিনের আলো ব্যবহারের কারণে বিদ্যুৎ সাশ্রয় হবে এবং যানজট নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে জ্বালানি অপচয় রোধ হবে।
আমরা জানি, আগে থেকেই বিদ্যুতের লোডশেডিং ব্যবস্থাপনা চলছিল। তবে শুধু লোডশেডিং করে যে ভালো ফল পাওয়া কঠিন- ইতোমধ্যে প্রমাণ হয়েছে। শুধু কর্মঘণ্টা পরিবর্তনও ধন্বন্তরি নয়। আমি মনে করি, বিদ্যুৎ সাশ্রয়ের আরও যেসব উপায় আছে, সেগুলোর কার্যকর বাস্তবায়ন নিশ্চিত করতে হবে। তাহলে সাশ্রয় করা যাবে জ্বালানি তেল। বৈদেশিক মুদ্রার ওপর চাপ কমানোও সম্ভব হবে।